প্রতিদিন ডেস্ক : রমজান মাসের রোজা বান্দার জন্য ফরজ ইবাদত। আল্লাহ তাআলা প্রতিটি ইবাদতই মানুষের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ। যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় আল্লাহ তাআলা তাদেরকে প্রতিটি ইবাদতের জন্য আলাদা নেয়ামত দান করেন।
আল্লাহ তাআলা কর্তৃক বিধিবদ্ধ ইবাদতের মধ্যে রোজাও একটি। এ রোজা পালনে মানুষের মাঝে অনেগ গুরুত্বপূর্ণ গুণের সমাবেশ ঘটে। এ গুণগুলো মানুষকে তাকওয়াবান হিসেবে গড়ে তোলে। রমজান মাসে মুমিন মুসলমান যে গুণগুলো দ্বারা নিজেদের রাঙিয়ে তুলে তা হলো-
>> রমজানের রোজা পালনের মাধ্যমেই মানুষ তাকওয়াবান হয়ে ওঠে। মুমিন বান্দার হৃদয়ে তাকওয়ার (আল্লাহর ভয়) বীজ বপন হয় এবং হারাম কাজ করা থেকে মুমিন প্রতিটি অঙ্গ মুক্ত থাকে।
ঠরংরড়হ
>> রোজার পালনের মাধ্যমে মানুষ তার নফসের কুরিপু নিয়ন্ত্রণ এবং দমন করতে সক্ষম হয়। রমজান পরবর্তী বাকী ১১ মাস নফসকে নিয়ন্ত্রণের সুযোগ তৈরি হয়।
>> রোজা একজন মুমিন মুসলমানকে গরিব-অসহায় প্রতিবেশির ব্যথা বেদনা অনুভব করা সুযোগ করে দেয়। অসাহয় গরিব-দুঃখীর মাঝে ইহসান ও তাদের জন্য ব্যয় করতে উদ্বুদ্ধ করে। আর এর দ্বারা সৃষ্টি হয় ভ্রাতৃত ও ভালোবাসার বন্ধন।
>> মুমিন মুসলমান রোজা পালনের মাধ্যমেই নিজদের কুপ্রবৃত্তিকে আয়ত্তে রাখতে পারে। অন্য সময়ে সাধারণত নফস মানুষকে যেভাবে অসৎ কাজের দিকে প্রভাবিত করে এবং হারাম কাজের দিকে ধাবিত করে। কিন্তু রোজা মানুষের কুপ্রবৃত্তির লাগাম টেনে ধরে এবং ভাল কাজের দিকে ধাবিত করে।
>> রোজা মানুষের জন্য আল্লাহর আনুগত্যকে সহজ করে দেয়। এটা বাস্তবেও পরিলক্ষিত হয় যে, রমজান মাসে মুমিন মুসলমান বিভিন্ন নেক কাজের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে। যা অন্য সময়ে করতে দেখা যায় না বরং অলসতা প্রদর্শন করে থাকে।
উল্লেখিত গুণগুলো রমজানের রোজা পালনকারীদের জন্য সম্ভভ হয়ে থাকে। এ কারণেই রমজানের রোজা পালন মানুষের উত্তম গুণাবলী অর্জন করার উপযুক্ত সময়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজানের রোজা পালন করে নিজেদের জীবনের সর্বোত্তম গুণাবলী অর্জন করার তাওফিক দান করুন। রোজা পরবর্তী সময়েও এ গুণাগুলো নিজেদের মাঝে ধরে রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।