রোজার আগেই পটিয়ায় দাম বাড়লো নিত্যপণ্যের

রমজান সামনে রেখে পটিয়ায় বেড়ে গেছে নিত্যপণ্যের দাম। এতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা। একদিকে করোনাভাইরাসের কারণে মানুষ কর্মহীন ও ঘরবন্দি। তার ওপর পণ্যের দাম বাড়তি এ যেন ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’। ক্রেতারা বলেন, ‘একদিকে করোনাভাইরাসের ভয় অন্যদিকে রোজার খরচ। আয় নেই। এই পরিস্থিতিতে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের জন্য খুবই কষ্টের।

অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, করোনাভাইরাসের কারণে আগের মতো পণ্য সরবরাহ হচ্ছে না। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে মানুষকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। ফলে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে অধিকাংশ পণ্যের দাম বেড়েছে। বিশেষ করে রমজানকে কেন্দ্র করে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলেন, চাল প্রতি বস্তায় ৫০০-৬০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সেই সাথে বেড়েছে ছোলা, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, তেলসহ বিভিন্ন নিত্য পণ্যের দাম। এ কারণেই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) পটিয়ার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা চাল প্রতি কেজি ৪৫-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এক মাস আগে এই চাল প্রতিকেজি ছিল ৩৫-৪০ টাকা। অর্থাৎ এই চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫-২০ টাকা। এছাড়াও মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০-৫৫ টাকা। সরু বা চিকন দানার চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়। মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি, যা এক মাস আগে ছিল ৫৫ -৬০ টাকা কেজি। অর্থাৎ চিকন চালের দাম একমাসের ব্যবধানে ১০ টাকা বেড়েছে।

কেজিতে ২৫টাকা বেড়েছে ছোলার দামও। একমাস আগে ছোলা প্রতি কেজি ছিল ৬০-৬৫ টাকা। বর্তমানে প্রতিকেজি ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের কেজি ছিল ৪০-৫০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা দরে। এক মাসের ব্যবধানে পেয়াজের কেজিতে দাম বেড়েছে ২০ টাকা। ১৬০ টাকা ছিল এক কেজি রসুনের দাম। বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০০ টাকায়। কেজিতে দাম বেড়েছে ৪০ টাকা। আদার কেজি ছিল ১২০ টাকার স্থলে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। ৫০ টাকার ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা দরে। দাম বেড়েছে ৪০ টাকা। ভোজ্য তেলের কেজি মূল্য ১১০-১২০ টাকা দরে এবং পামঅয়েল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে। হলুদ প্রতি কেজি ছিল ১৮০ টাকা। বর্তমানে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা।

চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজের দাম দফায় দফায় বাড়লেও দর পড়েছে সবজির। বাজারে টমেটোর কেজি ১০ টাকা, করলা ৩০ টাকা, বরবটি ৩০-৪০ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, শিম ৩০ -৩৫ টাকা, গাজর ৩০-৪০ টাকা, বেগুন ৩০ -৪০ টাকা, পটল, ঝিঙা ৪৫ টাকা কেজি। চিচিংগা, ঢেঁড়শ ৪০-৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি আকারের লাউ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকার মধ্যে।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!