রোগীর চাপ কমাতে চমেকে ৯ শয্যার অবজারভেশন কক্ষ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চালু হতে যাচ্ছে ৯ শয্যার ‘অবজারভেশন কক্ষ’। যেখানে জরুরি চিকিৎসা নিতে আসা অপেক্ষাকৃত কম গুরুতর রোগীরা চিকিৎসা নিতে পারবেন। বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীর চাপ কমানোর লক্ষ্যেই এই অবজারভেশনে কক্ষ চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রতিদিন গুরুতর রোগীদের সাথে কমপক্ষে শতাধিক কম গুরুতর রোগীর চাপ থাকে। যে কারণে অধিক রোগীর চাপ কমাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবজারভেশন কক্ষ চালু করার কাজ শুরু করে। কয়েকদিনের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন চমেক হাসপাতালের উপপরিচালক আখতারুল ইসলাম।

অবজারভেশন কক্ষ চালুর ফলে হাসপাতালে আসা অধিক কম গুরুতর রোগী ওয়ার্ডে ভর্তি না হয়ে অবজারভেশন কক্ষ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েই চলে যেতে পারবেন। এতে করে হাসপাতালে ভর্তির ঝামেলা পোহাতে হবেনা রোগীদের। এছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ডে অতিরিক্ত রোগীদের চাপও কমে যাবে।

মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপ-সহকারী পরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, হাসপাতালে প্রতিদিনই অসংখ্য রোগী ভর্তি হন। তবে রোগীদের চাপ কমাতেই ৯ শয্যার অবজারভেশন কক্ষ চালু হতে যাচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যেই কাজ শেষ হবে। তবে এখন থেকেই অবজারভেশন কক্ষ থেকে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এটা চালু হলে যাদের শুধুমাত্র প্রাথমিক চিকিৎসা পেলেই চলে, তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বিদায় করে দেওয়া যাবে। তখন ওইসব রোগীদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি দিতে হবে না। এতে ওয়ার্ডে রোগীদের চাপ কমবে। যেমন সড়ক দুর্ঘটনা বা অন্য যেকোনো দুর্ঘটনায় কম গুরুতর কিছু রোগী আসে যাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ২/১ ঘন্টা অবজারভেশনে রাখলেই হয়ে যাবে।

চট্টগ্রাম থেকে কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, এতদিন কম গুরুতর রোগীদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করে কয়েক ঘণ্টার জন্য চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হতো। যে কারণে ওয়ার্ডে রোগীদের ভিড় বেড়ে যায়। অধিক রোগীর চাপ কমাতে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডের পাশেই ৯ শয্যাবিশিষ্ট এ কক্ষ চালু করা হচ্ছে। আশা করি কয়েকদিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে।

তিনি আরও বলেন, এখন থেকে কম গুরুতর, দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের অবজারভেশন কক্ষে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হবে। অবজারভেশন কক্ষে পুরুষদের জন্য ছয়টি ও মহিলাদের জন্য তিনটি শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য দুইজন মেডিকেল অফিসারসহ ছয়জন চিকিৎসক নিয়োজিত থাকবে। যারা দিনরাত ২৪ ঘণ্টা রোগীদের সেবা দিয়ে যাবেন অবজারভেশন কক্ষের কাজ শেষ হলে আনুষ্ঠানিকভাবে তা উদ্বোধন করা হবে।

এসএএস/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!