রেল পূর্বাঞ্চলে দুর্ঘটনা নিয়ে লুকোচুরি

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের টেলিযোগাযোগ বিভাগের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। তার ব্যবহারের জন্য পুশট্রলি বরাদ্দ থাকলেও তিনি তা ব্যবহার না করে মোটরট্রলি ব্যবহার করেন। সম্প্রতি এক মোটর ট্রলি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ২ রেল কর্মচারী আহত হলে বিষয়টি সামনে আসে।

জানা গেছে, উর্ধতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসএসএই-সিগনাল) নুরুল ইসলাম নামে এ কর্মকর্তা নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুশট্রলির পরিবর্তে মোটরট্রলি ব্যবহার করছেন।

তবে প্রশ্ন উঠেছে, মোটরট্রলি ব্যবহারের জন্য তেল বরাদ্দ না থাকলেও তার নামে দেয়া হচ্ছে তেল বরাদ্দ। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট সকলে। এমনকি রেল পূর্বাঞ্চলের প্রধান সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী সুশীল হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলেও তিনি এ প্রশ্নের উত্তরে নীরব থাকেন।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে পাহাড়তলী স্টেশন আউটারে মোটরট্রলি লাইনচ্যুত হয়। এতে শহিদুল ইসলাম (ট্রলিম্যান) ও মেহেদী হাসান (খালাসী) নামে দুজন আহত হন। ট্রলিটি চিনকি আস্তানা থেকে পাহাড়তলী আসছিল। ট্রলি নিয়ে যাওয়া নুরুল ইসলাম বাসে করে চট্টগ্রাম ফিরেন সেদিন।

অভিযোগ উঠে, ২০১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে উপ-সহকারী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম পুশট্রলিতে মোটর লাগিয়ে সেটাকে মোটরট্রলি হিসেবে ব্যবহার করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নুরুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এরকম কোনো দুর্ঘটনার খবর আমার জানা নেই। আমি কোনো মোটরট্রলিও ব্যবহার করি না।’

একইভাবে অভিযোগ অস্বীকার করেন বিভাগীয় সংকেত ও টেলিযোগাযোগ দপ্তর পাহাড়তলীর (ডিএসটি) জাহেদ আরেফিন পাটোয়ারী তন্ময়ও। তিনি বলেন, ‘চলতি মাসে এরকম কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। সব ট্রলি অক্ষত আছে।’

তবে দুর্ঘটনায় আহত খালাসী মেহেদী হাসান বলেন, ট্রলি দুর্ঘটনায় আমি আহত হওয়ার পর রেলওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিই। দুর্ঘটনার বিষয় উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

রেল পূর্বাঞ্চলের প্রধান সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী সুশীল হাওলাদার বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এটা অন্যায়, আমি জেনে ব্যবস্থা নিবো।

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!