রেল নিরাপত্তা বাহিনীতে নারী সদস্য নিয়োগ করা হবে

আরএনবির কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীতে নারী সদস্য নেই। আমাদের বোনেরা যাতে এই বাহিনীতে কাজ করতে পারে সেই সুযোগ করে দিতে হবে। সেজন্য আগামীতে আরএনবিতে নারী সদস্য নিয়োগ করা হবে। চট্টগ্রামে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) ৫২তম ব্যাচের সদস্যদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

chittagong-railway-rnb

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে রেলওয়ে আরএনবির ট্রেনিং সেন্টারে অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র রেলপথ মন্ত্রণালয়ে নিজস্ব বাহিনী রয়েছে। এটি গর্বের বিষয়। কিন্তু বিগত সরকার রেলকে ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে। ৬৮ হাজার লোকবল থেকে ১০ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারী গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মধ্য দিয়ে বিদায় দেওয়া হয়। শতবছরের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান রেলওয়ে পরিণত হয় নানা অনিয়ম আর দুর্ণীতির আখড়ায়।

একসময় ৩০ ভাগ যাত্রী এবং পণ্য পরিবহন হতো রেলের মাধ্যমে। বর্তমানে এই হার দাড়িয়েছে ১১ ভাগে। ফলে চাপ বাড়ছে সড়ক মহাসড়কের উপর। প্রতিনিয়ত যানজট এবং দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে। যেসব দেশ যত উন্নত সে দেশের রেলযোগাযোগ সেবা ততো উন্নত। বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হচ্ছে। তাই রেলের হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার এবং উন্নতির দিকে এগিয়ে যাওয়াও সময়ের দাবি।

chittagong-railway-rnb

মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক করে রেলপথ নামে নতুন মন্ত্রনালয় সৃষ্টি করে। রেলের উন্নয়নে নেওয়া হয় ১০টি অগ্রাধিকার প্রকল্প। যার অন্যতম একটি দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেলপথ।

সুজন বলেন, রেলকে পুরোনো যৌবনে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাই। রেল পরিবারকে নতুনভাবে গড়ে তোলার জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। এজন্য সবাইকে সততা এবং নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রতিটি কর্মকর্তা যদি দেশপ্রেম আর সততার শপথে বলীয়ান হয়ে দায়িত্ব পালন করে তাহলে রেলওয়ে অবশ্যই ঘুরে দাড়াবে।
মন্ত্রী বলেন, রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের রেশন, ঝুকি ভাতা, থাকার জায়গা নেই। নিরাপত্তা বাহিনীর প্রত্যাশিত সুযোগ সুবিধা ধীরে ধীরে বাড়ানো হবে।

প্রশিক্ষণ শেষ করা আরএনবির নতুন সদস্যদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী সুজন বলেন, রেলের সম্পত্তি এবং পণ্য পরিবহনের নিরাপত্তা বিধানে এই বাহিনীর গুরুত্ব অপরিসীম। সততা এবং নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে প্রত্যেক সদস্যকে কাজ করে যেতে হবে।

রেলের সম্পত্তি বেদখল সম্পর্কে সুজন বলেন, রেলের অনেক সম্পত্তি বেদখল হয়ে আছে। এই সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করে রেলওয়ের সম্পত্তিতে পরিণত করতে হবে।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে চারজনকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত করেন রেলপথ মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রেলওয়ের মহাপরিচালক রফিকুল আলম, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ ফারুক আহমদ, চিফ কমান্ডেন্ট ইকবাল হোসেন প্রমুখ।

এসসি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!