রেলে ‘ক্ষোভে—বিক্ষোভ’ ২ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না ৫ হাজার শ্রমিক

দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস মহাব্যবস্থাপকের

রেল পূর্বাঞ্চলে বেতন-ভাতার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। এ সময় রেল শ্রমিকরা জিএম (মহাব্যবস্থাপক) এর কার্যালয় ঘেরাও করেন। পরে রেলের জিএম বিক্ষোভকারীদের সাথে বৈঠকে বসেন। বুধবার (২৩ জুন) সকালে রেলের সদর দপ্তর সিআরবিতে এ বিক্ষোভে অংশ নেয় শত শত শ্রমিক।

রেলওয়ে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা, মাইলেজ, পেনশন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনকল্পে রেজিস্টার্ড ও নন-রেজিস্টার্ড শ্রমিক সংগঠন সমূহ নিয়ে গঠিত রেলওয়ে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ ব্যানারে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।

পরে সংগঠনের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন। বুধবার (২৩ জুন) সকালে শ্রমকিদের বিক্ষোভের পর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল সিআরবি দপ্তরের কনফারেন্স রুমে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

জানা যায়, ২ মাস যাবত প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক ও আড়াই হাজার পেনশনভোগী পেনশন ভাতা পাচ্ছে না। শ্রমিকরা বেতন বোনাস বিহীন ঈদ উদযাপন করে। ঈদ শেষে বারবার ধর্ণা দিয়েও সমস্যার সুরাহা হয়নি। শ্রমিক সংগঠনের নেতারা জিএম ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তার সাথে দেখা করেও সংকটের সমাধান বের করতে পারেননি।

রেল থেকে কখনো আইভাস সিস্টেমে ত্রুটি, কখনো বাজেট সংকটের কথা বলা হলেও প্রকৃত জটিলতা নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি। এমন জটিলতায় রেলওয়ে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেন শ্রমিকরা।

রেল শ্রমিক লীগ, রেল শ্রমিক দল, রানিং লোকো স্টাফ কর্মচারী, ট্রাফিক কল্যাণ ঐক্য পরিষদ, স্টেশন মাস্টারসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভে অংশ নেন। বিক্ষোভ শেষে সংগঠনের নেতারা রেল কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠকে অংশ নেন।

রেলওয়ে শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, রেল শ্রমিক দলের সভাপতি এম আর মঞ্জুসহ অনান্য শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা বৈঠকে উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের দাবি দাওয়া তুলে ধরেন। রেলওয়ে (পূর্ব) মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন শ্রমিক সংগঠন নেতাদের বক্তব্য শুনে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন।

জেএস/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!