রেলের সরকারি বাসায় লাখ লাখ টাকার ‘বেসরকারি ব্যবসা’!

কাগজে-কলমে বাসা খালি, বাস্তবে ঘরভরা মানুষ

রেল কর্মচারী হিসেবে বাসা বরাদ্দ নিয়ে তা ভাড়ায় খাটানো কিংবা কাগজে-কলমে বরাদ্দহীন দেখানো হলেও তাতে ভাড়ায় থাকছে বহিরাগতরা। অসাধু কিছু কর্মচারীর যোগসাজশে এরকম অবৈধ বাণিজ্য চলছে রেলের সরকারি বাসা নিয়ে। প্রকাশ্যে এমন হরিলুট চললেও অজানা কারণে তা নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নন রেলের উর্ধতন কর্মকর্তারা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, পাহাড়তলী সেগুনবাগান, আমবাগান, টাইগারপাস, শহীদ লেন, ওয়্যারলেস কলোনি, স্টেশন কলোনিতে রেলওয়ের শতাধিক বরাদ্দহীন বাসা স্থানীয় প্রভাবশালী ও অসৎ কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে অবৈধভাবে ১৫-২০ লাখ টাকা আয় করছে। শুধু তা-ই নয়, বেশকিছু বাসার কাগুজে বরাদ্দের প্রমাণও এসেছে চট্টগ্রাম প্রতিদিনের হাতে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে (পূর্ব) চট্টগ্রামে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সরকারি বাসার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪ হাজার— এ তথ্য দিলেন সদ্য যোগদান করা বিভাগীয় প্রকোশলী (২) মো. হানিফ। তবে সরকারি বাসার হিসেব রাখার দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী (এসএসএই) মনির আহমেদ বলতে পারলেন না প্রকৃত সংখ্যা। কাগজে-কলমে খালি, অথচ বাসায় দিব্যি থাকছে মানুষ।

অনুসন্ধানে ওই এলাকাগুলোতে বরাদ্দ না থাকা এমন অন্তত ১১০টি বাসার সন্ধান মিলেছে, যা খালি দেখানো হলেও রয়েছে বহিরাগতের বসবাস। এসব বাসা অগ্রিমসহ প্রতি মাসে ৫ থেকে ৮ হাজার টাকায় ভাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিনামূল্যের ব্যবহারে বছরে কোটি টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে রেল বিভাগকে।

নিয়ম অনুযায়ী খালি বাসা সিলগালা করে রাখার বিধান থাকলেও, কোথাও সিলগালার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে বিভাগীয় প্রকৌশলী ( ১) ডিইএন নাইমুল হকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অনীহা প্রকাশ করেন।

বরাদ্দহীন খালি বাসা নিয়ে রেলওয়ের কতিপয় কর্মকর্তার এমন বাণিজ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিভিশনাল অফিসার পূর্ব (ডিআরএম) বোরহান উদ্দিন বলেন, আগামী ১৫ দিনের ভেতর সার্ভের মাধ্যমে সঠিক হিসেব যাচাই করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জেএস/সিআর/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!