রেলের বগিতে করে ‘তেল চুরি’, স্টেশনে আনার পথে নামানো হয় সুযোগ বুঝে

চট্টগ্রাম নগরীর টাইগারপাসের মার্শালিং ইয়ার্ড থেকে রেলের বগি (কোচ) পরিষ্কার শেষে রেল স্টেশনে আনার পথেই ঘটছে তেল চুরি। এই ঘটনায় ইয়ার্ডের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুরে মার্শালিং ইয়ার্ড থেকে মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি পরিষ্কার শেষে স্টেশন আনার পর ৩০ লিটারের এক গ্যালন মবিল রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) ধরলে তা অফিসে নিয়ে যাচ্ছে বলে জানায় এক কর্মকর্তা। এরপর তেলভর্তি গ্যালন ছেড়ে দেয় আরএনবি।

কিন্তু বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বগিটি ইয়ার্ড থেকে আনার পথে কদমতলী এলাকার ফ্লাইওভারের নিচে (কোচ নম্বর ৬৩০৭) এই রকম আরও ছয় গ্যালন মবিল নামিয়ে নেয়।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী এক রেল কর্মচারী জানান, বগি পরিষ্কারের নামে এভাবে প্রায়ই তেল চুরি হয়। মঙ্গলবার দুপুরে ওই কোচটি কদমতলী ফ্লাইওভারের নিচে আসলে ট্রেনের ইঞ্জিনের গতি কমিয়ে নামিয়ে নেওয়া হয় ছয় গ্যালন মুবিল।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে আরএনবি রেল স্টেশনের সিআই আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘ওই বগির ভেতর থেকে একটি তেলভর্তি গ্যালন উদ্ধার করা হয়। পরে গ্যালনের কথা ইয়ার্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী শাহ আলমকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি অফিসে জমা দেওয়ার জন্য নিচ্ছেন বলে জানান।’

এই বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে রেলের এক কর্মচারী জানান, রেলওয়ে বিভাগীয় বিদ্যুৎ বিভাগের অধীনে মার্শালিং ইয়ার্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী শাহ আলমসহ কয়েকজন কর্মচারী তেল চুরির সঙ্গে জড়িত। এরপর এসব তেল কদমতলীর খোলা বাজারে বিক্রি করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে মার্শালিং ইয়ার্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী শাহ আলমকে মুঠোফোন একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

রেলের প্রধান বৈদ্যুতিক কর্মকর্তা (পূর্ব) অজয় কুমার পোদ্দার বলেন, ‘পরিষ্কার করে আনা কোচ (বগি) নম্বরটি পাওয়ার কারের। আমি এই বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।’

জেএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!