রেলওয়ের ‘আইবাস সিস্টেম’ অনলাইন জটিলতার জালে শত ঠিকাদার

বাংলাদেশ রেলওয়ের বেতন বিল সহজীকরণ ও আয়, ব্যয়ে স্বচ্ছতা আনতে অনলাইন সিস্টেম চালু করা হয়। এ সিস্টেমের নাম আইবাস। তবে নতুন এ পদ্ধতি চালু করতে গিয়ে সিস্টেমে যুক্ত করা হয়নি রেলের সর্বোচ্চ ব্যয় খাত (ক্যাপিটাল ৯৫০০) কোড। ফলে চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরের প্রায় শতাধিক ঠিকাদার কাজ শেষ করেও বিল না পেয়ে পড়েছে চরম ভোগান্তিতে।

এ কারণে মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় রেলওয়ে প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে শতাধিক ঠিকাদার বিল না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে। পরে ঠিকাদারদের প্রতিনিধিরা সহকারী প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে দেখা করেন।

জানা গেছে, রেলওয়ের ক্রয়, স্টক, বিতরণ, যন্ত্রাংশ মেরামতসহ সকল খ্যাতে মোট বরাদ্দ দেওয়া অর্থ নতুন পদ্ধতির আইবাস কোড সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত না করায় বড় ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হয়।

প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরটি সরাসরি বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের সংযুক্ত দপ্তর হিসেবে একজন অতিরিক্ত মহাপরিচালকের (রোলিং ষ্টক) নিয়ন্ত্রণাধীন। কতৃপক্ষের নিয়মিত চাহিদার বিপরীতে প্রায় ৩৫ হাজার পণ্য দরপত্রের মাধ্যমে সংগ্রহ করে গুদামজাত, বিতরণ, ফিটিংস, মেরামতসহ গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলী সম্পাদন করে এ দফতর।

রেলওয়ের ঠিকাদারদের অভিযোগ, বর্তমানে রেলওয়ের কাজের স্বচ্ছতা আনতে আইবাসের মাধ্যমে রেলের সকল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। কিন্তু নতুন আইবাস পদ্ধতিতে স্টোরস সাসপেন্স খাত (ক্যাপিটাল ৯৫০০) অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হলেও তা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক কতৃপক্ষ বন্টন করতে পারছেনা। যার ফলে বিপুল সংখ্যক ঠিকাদার দরপত্রের চুক্তি অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করেও বিল নিতে পারছেনা।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আনোয়ারা এন্টারপ্রাইজের মালিক আলী হোসেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘সরঞ্জাম শাখা থেকে অর্থ উপদেষ্টার দপ্তর পর্যন্ত সৃষ্টি হয়েছে এই বিশাল জটিলতা। কারণ সিংহভাগ দরপত্রের নথিপত্রে অর্থ সংগ্রহের খাত হিসেবে স্টোরস সাসপেন্স খাত (ক্যাপিটাল ৯৫০০) উল্লেখ থাকার ফলে ঠিকাদারদের পাওনা পরিশোধ করতে এ জটিলতার সৃষ্টি হয়।’

ঠিকাদাররা ভোক্তার ভান্ডারজাত ব্যবহার্য সামগ্রী ক্রয়খাত (পুরাতন খাত ৪৮৫৪ হাল নাগাদ ব্যয়খাত ৩২৬৫১০৮ ডেভিড) এবং স্টোরস সাসপেন্স খাতে (ক্যাপিটাল- ৯৫০০ ক্রেডিট) প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যাপ্ত বরাদ্দ প্রদানের আবেদন জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক রুহুল কাদের আজাদ বলেন, ‘এই জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যে কয়েকদিনের মধ্যে ঢাকা রেল ভবনে মিটিং হবে।’

জেএস/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!