রুমমেট হয়ে সর্বস্ব লুটে নেয় তারা

তাদের হাতে থাকে একটা বালিশ, একটা তোষক। কাঁধে ঝুলে ব্যাগ। এসব নিয়ে নগরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে তারা খুঁজেন ব্যাচেলর বাসা। টুলেট লিখা দেখলে কড়া নাড়েন দরজায়। অথবা কল দেন যোগাযোগের জন্য দেওয়া নম্বরে। ভাড়া যতই হোক, সুযোগ-সুবিধা যা-ই থাকুক তাদের আপত্তি থাকেনা রুমমেট হতে। কিন্তু পরদিনই রুমের অন্য বাসিন্দাদের জন্য এই রুমমেটই হয়ে যান বিভীষণ! কারণ পরদিন সকালে সবাই যখন যার যার কাজে বাসা থেকে বের হয়ে যান, তখন ওই নতুন রুমমেট বাসায় থাকা ল্যাপটপ, নগদ টাকা নিয়ে দেন চম্পট।

সোমবার (৩ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা থেকে এ চক্রের অন্যতম সদস্য মো. আবুল মনসুরকে (৩০) আটক করেছে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। তার বাড়ি আনোয়ার থানার বৈরাগ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের দেওয়ান বাজার এলাকায়। তার বাবার নাম নুর হোসেন।
তার কাছ থেকে ১টি ল্যাপটপ, ৩টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সেট এবং ৩টি ল্যাপটপ ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ভাড়ার নামে নগরের বিভিন্ন এলাকায় ল্যাপটপ, মোবাইল চুরি মো. মানসুরের পেশা। মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে তাকে আনোয়ারা থানা এলাকা থেকে আটক করা হয়। এরপর কর্ণফুলী এলাকায় তার বাসায় অভিযান চালিয়ে তার কাছ থেকে চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।’

পুলিশ জানায়, গত ২৭ জুলাই পাঁচলাইশ থানার হিলভিউ আবাসিক এলাকায় একটি বাসায় রুম ভাড়ার কথা অবস্থান করে আবুল মনসুর। মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে সুযোগ বুঝে ওই বাসায় থাকা ল্যাপটপ নিয়ে পালিয়ে যায় সে। ৩ আগস্ট মুশফিকুর রহমান পাঁচলাইশ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগ জমা পড়ার চার ঘণ্টার মধ্যেই এই পেশাদার চোর চক্রের সদস্য আবুল মনসুরকে আটক করতে সক্ষম হয় পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।

গত ৮ জুলাই লালখান বাজারের হাইলেভেল রোডে সাংবাদিক শাহাদাত চৌধুরীর বাসায় রুমমেট হিসেবে উঠে পরদিনই ২টি ল্যাপটপ ও মোবাইল নিয়ে যায় এক ব্যক্তি। গত ২০ মার্চ হালিশহর এলাকায় ব্যাচেলর বাসায় নতুন রুমমেট সেজে এক ব্যক্তি উঠে ওই দিনই লুট করে নিয়ে যায় বাসায় থাকা দুইটি ল্যাপটপ ও নগদ টাকা। এসব ঘটনায় নগরী খুলশী ও হালিশহর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ভুক্তভোগীরা।

সিএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!