রিয়াজউদ্দীন বাজারের চোরাই মোবাইল বিক্রয় চক্রের মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ৪

চট্টগ্রাম নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারকে ঘিরে চোরাই মোবাইল বিক্রির বিশেষ সিন্ডিকেট ‘মামা-ভাগ্নে’ চক্রের মূল হোতা ‘মামা’ দোস্ত মোহাম্মদসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।

সোমবার (৩০ সেপ্টম্বর) বিকেলে রিয়াজউদ্দিন বাজারে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন খলিলুর রহমান, সাহেদুল ইসলাম, মো. সোহেল রানা। এদের মধ্যে দোস্ত মোহাম্মদ মানিক আলিফ ইলেক্ট্রনিক্স এবং খলিলুর রহমান এনকে মোবাইল নামক প্রতিষ্ঠানের মালিক। সাহেদুল ইসলাম মাদারটাস নামক মোবাইল দোকানের কর্মচারী। মালিক খোরশেদ আলম পলাতক রয়েছেন। দোস্ত মোহাম্মদ মানিক ও খোরদেশ আলম আপন মামা-ভাগ্নে। তাই তাদের চক্রটি মামা-ভাগ্নে চক্র নামে পরিচিত।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘মামা-ভাগ্নে চক্রের মূল দোস্ত মোহাম্মদ মানিক। তাকে ও তার চক্রের মোট ৪জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ১৬০টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করার হয়েছে। তার আপন ভাগ্নে খোরশেদ আলম পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

উদ্ধারকৃত ১৬০টি চোরাই মোবাইল।
উদ্ধারকৃত ১৬০টি চোরাই মোবাইল।

তিনি আরো জানান, এর আগের দিন নগরীর লাভলেইন থেকে আটক হওয়া ‘যুবলীগ পরিচয়ে ছিনতাইকারী’ নজরুল ইসলামের স্বীকারোক্তি মতে এই চক্রের সন্ধান মেলে।

আটক মামা-ভাগ্নে চক্রের সদস্যরা জানায়, অধিক লাভের আশায় নগরীর বিভিন্ন চুরি ও ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনগুলো চোর, ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে নামমাত্র মূলে মামা-ভাগ্নে কেনে। মোবাইলগুলো ঘষামাজা করে নতুন আবরণ এনে অন্যান্য ব্যবসায়ীর মত মোবাইল ক্রয়-বিক্রয় করে। রিয়াজউদ্দিন বাজারকেন্দ্রিক চোরাই মোবাইল ব্যবসা এক সময় নিয়ন্ত্রণ করতো জাহিদুল ইসলাম আলো। জাহিদ র‌্যাবের বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর মামা-ভাগ্নে সেই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে নেয়।

এফএম/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!