রান্নার চুলা নিয়ে কর্ণফুলী গ্যাসের ১০ সতর্কতা

গ্যাস থেকে প্রায়ই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় গ্যাসের পাইপলাইন বিস্ফোরণে সম্প্রতি প্রাণ গেল সাতজনের। এমন অবস্থায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি গ্যাস দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এতে ১০টি বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। পরামর্শগুলো হচ্ছে—

  • অকারণে গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে রাখবেন না। রান্না শেষে গ্যাসের চুলাটি বন্ধ করুন।
  • গ্যাস স্বল্পতাজনিত বা অন্য কোন কারণে চুলাটি আপনাআপনি নিভে গেলেও সতর্কতার সাথে চাবিটি বন্ধ করা হয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত হোন।
  • চুলা জ্বালানোর কমপক্ষে ১৫-২০ মিনিট আগে রান্নাঘরের দরজা-জানালা খুলে অবাধ বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করুন।
  • রান্না ঘরের জানালা সবসময় খোলা রাখুন। জানালা না থাকলে পর্যাপ্ত ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
  • মাঝে মাঝে সাবান/শ্যাম্পুর ফেনা ছিটিয়ে চুলার নব/পিতলের চাবির সংযোগস্থলে কোন বুদবুদ তৈরি বা লিকেজের আলামত আছে কিনা তা নিজেই পরীক্ষা করুন। কোন লিকেজ দেখা গেলে দক্ষ ফিটার-মিস্ত্রি দিয়ে সেটা মেরামত করে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে নিন। প্রয়োজনে কর্ণফুলী গ্যাসের অনুমোদিত ঠিকাদারের (কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকে) সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।
  • রাইজার বা উৎস লাইনে লিকেজের আলামত পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানির জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ কক্ষে অভিযোগ করুন।
  • গ্যাস লিকেজ বা দুর্ঘটনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আপনার আঙ্গিনায় স্থাপিত গ্যাস রাইজারটিতে অবাধ যাতায়াত নিশ্চিত করুন।
  • গ্যাস রাইজারটি কোনভাবেই লোহার গ্রিল কিংবা শিট/বক্স দ্বারা আবদ্ধ করবেন না এবং গ্যাসলাইনের ওপর কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করবেন না।
  • গ্যাস পাইপলাইনের কাছে কোন দাহ্য পদার্থ রাখা বা বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপন করা থেকে বিরত থাকুন।
  • গ্রাহক নিজ খরচে ও স্ব-উদ্যোগে প্রতি ২-৩ বছর পর পর কোম্পানির তালিকাভুক্ত ঠিকাদারের মাধ্যমে ও কোম্পানির উপযুক্ত প্রতিনিধির উপস্থিতিতে রেগুলেটরের নির্গমনদ্বার হতে চুলা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ লাইনের চাপ পরীক্ষা করে লিক-প্রুফ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। গ্যাস বিক্রয় চুক্তির “৭’ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রেগুলেটরের নির্গমনদ্বার হতে চুলা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ পাইপলাইনের কোনো ত্রুটি বা ছিদ্রের জন্য কোম্পানি দায়ী হবে না।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!