রাতে শাহাদাতের সঙ্গে বৈঠক, দিনে যুবদল নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) নগর বিএনপির সমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের হয়েছে। দুটি মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ১৭ জনকে অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে। প্রথম মামলাটি দায়ের হয় সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে।

জানা গেছে, সোমবার রাতে নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সাথে হামলায় অভিযুক্ত শামসু গ্রুপের রুদ্ধধার বৈঠক হয়। বৈঠক থেকে বের হওয়ার পর ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তৈয়ব আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পর দিনই (মঙ্গলবার) শামসু গ্রুপের আবু কালাম বাদি হয়ে যুবদলের মূলধারার নেতাদের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দায়ের করেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে তৈয়ব নামে বিএনপির একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়ে। তার বিরুদ্ধে সোমবার দুপুরে মামলা হয়েছিল। প্রতিপক্ষ মঙ্গলবার আরেকটি মামলা দায়ের করেন। দুই মামলায় জ্ঞাত-অজ্ঞাত ২৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) নগর যুবদলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জিল্লুর রহমান জুয়েল বাদি হয়ে একটি হত্যাপ্রচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। তার মামলায় নগর যুবদলের সাবেক সহসভাপতি শামসুল হক, ফারুক, জসিম, তৈয়ব আলীসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি ৭-৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। ওই দিন রাতেই নগর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে তৈয়বকে কোতোয়ালী থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) আবু কালাম বাদি হয়ে নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জিল্লুর রহমান জুয়েল, সেলিম উদ্দিন রাসেল, কালা খোকন, জাহাঙ্গীর বাবুর নাম উল্লেখ করে ৮-৯ জন অজ্ঞাত রেখে পাল্টা মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিএনপির ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নগর বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে হামলায় যুবদলের ৮ নেতাকর্মী আহত হন।

দুই পক্ষের মারামারি ও পাল্টাপাল্টি মামলার বিষয়ে কথা বলতে নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও সাড়া মেলেনি।

নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা বসবো। দুই পক্ষের সাথেই কথাবার্তা চলছে। আশাকরি দুই-এক দিনের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে।’

নগর মহিলা দলের সভানেত্রী ও চসিক কাউন্সিলর মনোয়ার বেগম মনি বলেন, ‘সিনিয়র নেতারা বসে সমাধান না করলে দলের শক্তি ক্ষয় হবে। দল ক্ষতিগ্রস্থ হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমস্যা সমাধান হওয়া উচিত। আশা করি আমাদের নেতৃবৃন্দ সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।’

নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সকালের প্রোগ্রাম সেরে আমি বিকেলে আমার আব্বাকে কেমোথেরাপি দিতে ব্যস্ত ছিলাম। নাসিমন ভবনের কর্মসূচিতে যেতে পারিনি। অথচ শুনলাম আমি নাকি মামলার প্রথম আসামি। দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ আছেন। উনারা দেখবেন বিষয়টি।’

নগর যুবদলের সাবেক সহসভাপতি ও যার মিছিল থেকে সমাবেশে হামলার অভিযোগ উঠেছে সেই শামসুল হক বলেন, ;আমি মারামারিতে নেই। তবে মামলার আসামি হয়েছি। এর বেশী কিছু বলতে পারবো না।’

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!