রাতে ফেরার পথে বায়েজিদে তরুণীকে ধর্ষণ চার বখাটের

কারখানায় ছুটি শেষে রাতে এক পুরুষ সহকর্মীর সঙ্গে বাসায় ফিরছিলেন তরুণীটি। চট্টগ্রাম নগরীর অক্সিজেন মোড়ে দাঁড়িয়ে তরুণী ও তার পুরুষ সহকর্মী কথা বলছিলেন। এ সময় আলমগীর ও ইউনূস নামের দুই বখাটে এসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলার কারণ জানতে চায়। একপর্যায়ে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় রাস্তার পাশে নির্জন স্থানে। অসদাচরণের প্রতিবাদ করলে বখাটে আলমগীর তাকে চড়থাপ্পড় দেয়। এ সময় বাবু ও জানে আলম নামে আরও দুই বখাটে তার সঙ্গে যোগ দেয়। প্রহারের শিকার সহকর্মীর অবস্থা দেখে ভীত ওই তরুণী ঘটনাস্থল ছেড়ে হাঁটতে শুরু করলে জানে আলম তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে বায়েজিদ বোস্তামীর মিদ্দাপাড়ায় পরিত্যক্ত একটি ঘরে নিয়ে যায়। বাকি তিন বখাটেও ওই ঘরে পৌঁছালে পালাক্রমে চারজনই ধর্ষণ করে ওই তরুণীকে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার মিদ্দাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ধর্ষণের একপর্যায়ে ওই তরুণী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে জ্ঞান ফিরলে ওই তরুণীকে একটি মিনিবাসে তুলে দেয়। ওই মিনিবাসের চালক জুয়েল ও ধর্ষক জানে আলম ওই বাসে তরুণীকে আমিন জুট মিল এলাকায় নিয়ে যায়। তরুণীকে নিয়ে সেখানে একটি চায়ের দোকানে বসলে তরুণীটি কান্না শুরু করে। টহল পুলিশ এ ঘটনা দেখে জানে আলম ও জুয়েলকে আটক করে।

ধর্ষণের শিকার তরুণী বায়েজিদ বোস্তামির একটি কনডেন্সড মিল্ক কারখানায় চাকরি করেন। পুলিশ জেনেছে, জানে আলম, আলমগীর, ইউনূস ও বাবু ছাড়াও ওই তরুণীতে ধর্ষণে সহায়তা করে জুয়েল নামের এক যুবক।

এদিকে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর ওই তরুণী পাঁচজনকে আসামি করে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ওইদিন বিকেলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে জানে আলম ও জুয়েল।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!