রাজ-পরির ঘরে জোড়া শাবক

নগরীর ফয়’স লেকের চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘ রাজ ও পরির ঘরে জোড়া শাবকের জন্ম হয়েছে।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় রাজ ও পরীর ঘরে এ দুটি বাঘ শাবক জন্ম নেয় । সদ্য জম্ম নেওয়া বাঘ শাবক দুটি সুস্থ আছে। শাবক দুটোর চোখ ফোটতে প্রায় দশ থেকে পনের দিন সময় লাগতে পারে।

চিড়িয়াখানা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শাবক দুইটির সুস্থ আছে। আপাতত চিড়িয়াখানার কিউরেটর ছাড়া কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। শাবক দুটির চোখ ফোটার পর বিস্তারিত জানানো হবে।

জানা যায়, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে আনার পর ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই দুইটি শাবকের জন্ম দিয়েছিলো পরি। এর মধ্যে একটি বিরল প্রজাতির শাদা বাঘ।

চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ২০০৩ সালে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে দুইটি বাঘ আনা হয়েছিল। ২০০৬ সালে বাঘ ‘চন্দ্র’ মারা যায়। ২০০৯ সালে তার সঙ্গী ‘পূর্ণিমার’ ক্যান্সার ধরা পড়ে। ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর পূর্ণিমা মারা যায়। এরপর থেকে চার বছর বাঘহীন অবস্থায় ছিলো চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা।

২০১৬ সালের ১৯ আগস্ট বাঘ আমদানির জন্য আর্ন্তজাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ৩৩ লাখ টাকায় ৮ ডিসেম্বর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে আফ্রিকা থেকে আমদানি করা ১ জোড়া রয়েল বেঙ্গল টাইগার চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় পৌঁছে। একটি বাঘের বয়স ছিলো ১১ মাস, অপরটির ৯ মাস। বাঘ ছাড়াও এ চিড়িয়াখানার জন্য আমদানি করা হয় ৬টি জেব্রা। বাঘ দুটি নাম রাখা হয় রাজ ও পরী।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ৬৭ প্রজাতির তিন শতাধিক পশু ও পাখি আছে। এর মধ্যে আছে বাঘ, সিংহ, পুরুষ ভাল্লুক, কুমির, চিত্রা হরিণ, মায়া হরিণ, উল্টোলেজী বানর, উল্লুক, হনুমান, চিতা বিড়াল, ইমু, ঘোড়া, উটপাখি ইত্যাদি।

সিএম/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!