রাজাকারের নির্ভুল তালিকা করতে মুক্তিযোদ্ধাদের দায়িত্ব দিন

রাঙামাটিতে শাহরিয়ার কবির

রাজাকারের তালিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই মুক্তিযোদ্ধাদের নাম যুক্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নাম রাজাকারের তালিকায় প্রকাশের পেছনে স্বাধীনতাবিরোধীরা জড়িত। তাই বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। রাজাকার-স্বাধীনতাবিরোধীদের নির্ভুল তালিকা করতে মুক্তিযোদ্ধাদের দায়িত্ব দিন।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি রাঙামাটি জেলার প্রথম সম্মেলনে শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে।

শাহরিয়ার কবির আরও বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে স্বাধীনতার পক্ষ ও বিরোধীরা একসঙ্গে অবস্থান করছে। মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিতে লজ্জা পেতেন; ৭৫ পরবর্তী এমন পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতেই আন্দোলন শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করাই ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির মূল আন্দোলন। কোনো পরিবর্তন ছাড়াই ৭২ এর সংবিধান ফেরত চাই আমরা।

পার্বত্য জেলাগুলোতে জামায়াত ইসলামীর মৌলবাদিরা যথেষ্ট শক্তিশালী উল্লেখ করে শাহরিয়ার কবির বলেন, জামায়াত শান্তির ধর্ম ইসলামকে সন্ত্রাসীর ধর্ম বানিয়েছে। ধর্মের নামে পাহাড়েও সাম্প্রদায়িকবিরোধ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু জাতি বর্ণ বিরোধ মীমাংসার প্রথম পদক্ষেপ ছিল ‘পার্বত্য শান্তি চুক্তি’। সারা বিশ্বে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে এ চুক্তি।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা প্রীতি কান্তি বড়ুয়া, রঞ্জিত বড়ুয়া, নারীনেত্রী টুকু তালুকদার, নিরুপা দেওয়ান, সমীর কান্তি দে, কামাল উদ্দিন, অনিক চৌধুরী ও সাংবাদিক শওকত বাঙালি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সৈকত রঞ্জন চৌধুরী।

পরে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি রাঙামাটি জেলা শাখার ৪১ সদস্যের প্রথম কমিটি ঘোষণা করেন সাংবাদিক শওকত বাঙালি। এতে সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে সভাপতি, সৈকত রঞ্জন চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক ও প্রকাশ চাকমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। পরে গণসঙ্গীত ও কবিতাবৃত্তি করেন শিল্পীরা।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!