রাজাকারের তালিকা বিষয়ে আমরা এখনো চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

রাজাকার কিংবা তাদের পরিবারের সদস্যরা যদি সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বে থেকে থাকে, তাদের বিষয়ে সরকার কি ব্যবস্থা নেবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ .ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘ আমরা এখনো চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। সিদ্ধান্তের পরে আমরা জানাবো।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ রাজাকারের তালিকায় যারা ছিলেন তারা রাঘববোয়াল নাকি চুনোপুঁটি সেভাবে দেখবো না। যে যেভাবে ছিলেন তার নাম সেভাবেই আসবে।’

শনিবার (১১ জানুয়ারি ) দুপুরে রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলি সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত ‘ বঙ্গবন্ধু জাতীয় অ্যাডভেঞ্চার উৎসব এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশে প্রথম বারের মতো এ উৎসবের আয়োজন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ মুজিব বর্ষ আমরা বিভিন্নভাবে উদযাপন করছি। দেশে প্রথম বারের মতো শুরু হওয়া এ উৎসব নতুন মাত্রা যোগ করলো। এটা পর্যটন বিকাশেও ভূমিকা রাখবে । অপার সম্ভাবনা আছে রাঙামাটি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার। আমরা কিন্তু সেটা কাজে লাগাতে পারিনি। আমরা আশা করছি সমন্বিতভাবে কাজ করে বিশ্বের পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পারবো। এই ট্যুরিজমের মাধ্যমেই বাংলাদেশের অর্থনীতির একটা বিশেষ অংশ ভবিষ্যতে উপার্জন করতে পারবে।’ পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে মন্ত্রী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা। বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাঙামাটির সংসদ সদস্য ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার আলমগীর কবির, প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দেওয়া ওশান সেইলর ফ্রান্সের অধিবাসী মিস অ্যান কুয়েমেরি প্রমুখ।

১১ থেকে ১৫ জানুয়ারি পাঁচদিনব্যাপি তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবনে উৎসবটি চলবে। আয়োজকদের দাবি, এক কোটি টাকা বরাদ্দের এই উৎসব অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষা অর্জন, পর্যটন খাতের অগ্রগতি, অ্যাডভেঞ্চার ক্রীড়ার মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, টেকসই পর্যটনের উন্নয়নে এবং বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব কমিয়ে আনতে উৎসাহিত করবে।

উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ মাউন্টেইন বাইকিং, কায়াকিং, ক্যানিওনিং, কেভ ডিসকভারি, হাইকিং, ট্রেইল রান, রোপ কোর্স, টিম বিল্ডিং, টি ট্রেইল হাইকিং, সেইলিং বোটসহ বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চার ক্রীড়ার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। এছাড়া এর মাধ্যমে দেশের পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা প্রসারিত ও বিকশিত হবে।

এভারেস্ট বিজয়ী নিশাত মজুমদারসহ ভারত, নেপাল ও অস্ট্রেলিয়া থেকে ১৬ জন অতিথি থাকছেন উৎসবে। ২৭ জন নারীসহ উৎসবে ১০০ জন অ্যাডভেঞ্চারার অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে পার্বত্য এলাকার ৩১ জন, দেশের অন্যান্য এলাকা থেকে ৫৩ জন এবং ১৬ জন বিদেশি অংশগ্রহণকারী রয়েছেন।

এছাড়া এভারেস্ট বিজয়ী নিশাত মজুমদারকে এবারের বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার সম্মাননা প্রদান করা হবে। আগামী ১৫ জানুয়ারি বিকেলে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান কার্যালয় রাঙামাটিতে উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং।

এসবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!