রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি :
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের হরিহর বর্নিক পাড়া গ্রামের বন্য হাতি অাক্রমনে পিষ্ট হয়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার ভোররাতে হাতির আক্রমনে আহত হয়েছেন্রেেআরো কয়েকজন।
এছাড়াও হাতির পাল কয়েকটি বসতবাড়ি ভাঙচুর করে। সকালে স্থানীয় লোকজন হাতির পালটিকে বনে ফেরত পাঠালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
হাতির আক্রমণে নিহত ব্যক্তি হলেন, হরিহর গ্রামের সুরেন্দ্র কুমার দাশের ছেলে নিখিল দাশ (৪৫)। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী দত্ত বাবু জানান, রাত একটার দিকে ৮-১০টি বন্য হাতি পদুয়া হরিহর গ্রামে নেমে ফসলের খেত নষ্ট করে এবং বসতবাড়িতে এসে কলাগাছ খেতে থাকে। একপর্যায়ে হাতির পাল ঘরবাড়ি ভাঙা শুরু করে।
ভয়ে লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে দিগ্বিদিক ছুটতে থাকে। এ সময় হাতির আক্রমণ ও পায়ের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে নিখিল দাশের মৃত্যু হয়। হাতির পাল সকাল পর্যন্ত লাশের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল।
পরে স্থানীয় লোকজন লাঠি শুঠা নিয়ে হাতির পালটিকে সরিয়ে দিয়ে লাশটি উদ্ধার করেন। গ্রামের লোকজনের আশঙ্কা, বন্য হাতির দল আবার ওই গ্রামে হানা দিতে পারে।
রাঙ্গুনিয়া দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খাদ্যের সন্ধানে বন্য হাতির পালটি গহিন অরণ্য থেকে লোকালয়ে নেমে এসে আক্রমণ চালায়। এতে একজনের মৃত্যু হয়।
রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, বুধবার ভোররাতে বন্য হাতির আক্রমণে একজন মারা গেছেন তা আমরা শুনেছি এবং আমি তাৎক্ষণিক দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া পদুয়া পুলিশ বিট ও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে যাথে করে লোকজন ঘরে ফিরে এবং আতঙ্ক বিরাজ না করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় বন বিভাগের একজন বন-প্রহরী বলেন, সংরক্ষিত বনে হাতির খাবারের তীব্র সংকট চলছে। এ কারণে হাতির পাল বন ছেড়ে গ্রামে লোকজনের গাছপালা ও খেতের ফসল খেয়ে ফেলছে। গোলার ধান খেতে হাতির পাল বসতবাড়ি ভেঙে ফেলে। এ সময় হাতির পায়ের তলায় পিষ্ট হয়ে কিছু লোকের মৃত্যু হচ্ছে।
রিপোর্ট : ফিরোজ
এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::