রাঙ্গুনিয়ায় মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অনীহা

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় মন্দির ভাঙচুর এবং শ্মশান দখলের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেনি রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ।

উল্লেখ্য, শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাঙ্গুনিয়ার ধামাইরহাট এলাকার কর্মকারপাড়া দূর্গা মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় মন্দিরের বিশ্বকর্মা ও সরস্বতী প্রতিমাসহ ৪টি প্রতিমা ভাংচুর করা হয়। এই ঘটনার পর দিলীপ কর্মকার বাদি হয়ে মান্দির ভাঙচুরের সাথে জড়িত পেয়ারু,মাইনুদ্দিন, ফজলুর রহমান এবং আবদুল্লাহকে আসামি করে রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা দায়ের করে।

চট্টগ্রাম উত্তরজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নিখিল কুমার নাথ বলেন, ‘মন্দির ভাঙচুরের ঘটনার পর রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করে। এরপর মামলা গ্রহণ করলেও অভিযুক্তদের ধরার ব্যাপারে তাদের কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বারবার তাগাদা দেওয়া হলেও তিনি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে গড়িমসি করছেন।’

রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ এমএকে ভূঁইয়া বলেন, ‘এই ঘটনায় দায়ের হওয়ার মামলার অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।’

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে রাঙ্গুনিয়ার ধামাইরহাট এলাকায় রাতের আঁধারে সংখ্যালঘুদের মন্দির ভাঙচুর করেছে একটি চক্র। এ সময় তারা শ্মশান দখলের চেষ্টাও চালায়। তবে স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এ সময় মন্দিরের বিশ্বকর্মা ও সরস্বতী প্রতিমাসহ চারটি প্রতিমা ভাংচুর করে তারা।

স্থানীয় প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত নাজিমুল করিম পেয়ারু ও ফজলুল করিম গংদের নেতৃত্বে মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুর করেছে বলে জানায় মন্দির কর্তৃপক্ষ।

এসসি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!