রাঙ্গুনিয়ায় ‘পরকীয়ার জেরে’ প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক গৃহবধু। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। ৪ মে (শনিবার) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের সৈয়দুল হক চেয়ারম্যানের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দেওয়া বক্তব্য অনুযায়ী, স্বামী প্রবাসে থাকার সুবাদে উপজেলার চন্দ্রঘোনা তৈয়বিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা হারুনুর রশিদের ছেলে মোহাম্মদ মিজানের সঙ্গে চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের মৃত গফুর আলমের পুত্র প্রবাসী মোহাম্মদ ইসার স্ত্রী জান্নাতুুল ফেরদৌস (২৫) এর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
তারা প্রায়ই লুকিয়ে মেলামেশা করতেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময় রাতেও মিজানকে বাসায় নিয়ে এসে মেলামেশা করতেন জান্নাতুল। এ নিয়ে আগে অনেকবার জান্নাতুলের সঙ্গে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বাকবিতণ্ডা হয়। গত শনিবার (৪ মে) দিবাগত রাত আড়াইটায় ঈশান (৫) ও মীম (৩) নামের দুই শিশু সন্তানকে ঘুমে রেখে প্রেমিক মিজানের সাথে গোপনে দেখা করতে যায় জান্নাতুল। ওই অবস্থায় জান্নাতের শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাদের দেখে ফেলে। এই সময় কৌশলে প্রেমিক মিজান পালিয়ে গেলেও ফেলে যায় পায়ের স্যান্ডেল। অন্যদিকে জান্নাতুল দৌড়ে নিজ শয়নকক্ষে ঢুকে পড়ে। এর প্রায় দেড় ঘন্টা পর জান্নাতুল ফেরদৌস লোকলজ্জার ভয়ে কক্ষের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। পরে কোনো এক সময় ফ্যানের সঙ্গে রশি লাগিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।

পরে ঘটনাস্থলে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এসে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহায়তায় রশি কেটে মরদেহ নামায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া থানার উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে নিহতের ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরকীয়া প্রেম ধরা পড়ায় লোকলজ্জার ভয়ে এমনটা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, সুরতহাল রিপোর্ট হাতে পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে এই ঘটনার পর থেকে পরকীয়া প্রেমিক মিজান আত্মগোপনে রয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত মিজানকে এ ঘটনা থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্নভাবে ম্যানেজ প্রক্রিয়া চলছে বলে নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকজন অভিযোগ করেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!