রাজবন বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব সম্পন্ন

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি : লক্ষাধিক পুর্ণাথীদের অংশগ্রহনে সম্পন্ন হল রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব। শুক্রবার বিকাল ৩টায় আনুষ্টানিকভাবে রাজবনবিহারে ধর্মীয়গুরু নিকট চীবরটি উৎসর্গ করেন চাকমা সার্কেল চীফ রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় ।
কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রায় আড়াই হাজার বছরেরও আগে মহামতি গৌতম বুদ্ধের জীবদ্দশায় তাঁর প্রধান সেবিকা মহাপুণ্যবতী বিশাখা প্রবর্তিত নিয়মে রাজবন বিহারে এবার ৪৪তম কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এদিকে রাজবন বিহারে আয়োজিত কঠিন চীবর দানোৎসবকে ঘিরে উৎসবমুখর হয়ে উঠছে গোটা রাঙ্গামাটি শহর। উৎসব ঘিরে রাজবন বিহার এলাকায় বসছে মেলা। ধর্মীয় কীর্তন, নাটক, চরকায় সুতা কাটা, বেইন বোনা, কল্পতরু শোভাযাত্রাসহ চলছে বর্ণাঢ্য নানা আয়োজনের প্রস্তুতি। কঠিন চীবর দানোৎসবে প্রতি বছর রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে অগণিত মানুষের ঢল নামে। সমাগম ঘটে লাখো মানুষের।

বাংলাদেশের প্রধান বৌদ্ধধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুই দিনব্যাপী কঠিন চীবর দানোৎসব বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে। দুপুর ১টায় পঞ্চশীল গ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বৌদ্ধদের এ মহাপুণ্যাযজ্ঞ। এরপর বিকাল ৩টায় চাকমা সার্কেল চিফ রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বেইন ঘর এবং রাণী য়েন য়েন রায় চরকায় সুতা কাটা উদ্বোধন করেন। এ সময় রাজবন বিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজবন বিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় পঞ্চশীল গ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দু’দিনের আনুষ্ঠানিকতা। বিকাল তিনটায় চরকায় সুতা কাটার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে চীবর (বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ব্যবহার্য্য বস্ত্র) তৈরি করে দানীয় উৎসবের। রাজবন বিহারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক চাকমা সার্কেল চিফ রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় ও রাণী য়েন য়েন রায় চরকায় সুতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এর আগে বেইন ঘর উদ্বোধন করেছেন মহাপরিনির্বাণলাভী বৌদ্ধ আর্যপুরুষ সর্বজনপূজ্য শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের উত্তরসুরী শিষ্যমন্ডলী। শুক্রবার ২৪ ঘন্টার মধ্যে তৈরি করা চীবর উৎসর্গের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দু’দিনব্যাপী এ মহাপুণ্যাযজ্ঞের।