রাঙ্গামাটিতে পর্যটন উন্নয়নে ৬শ কোটি টাকা বরাদ্ধ !

রাঙ্গামাটিতে পর্যটন উন্নয়নে ৬শ কোটি টাকা বরাদ্ধ ! 1চৌধুরী হারুনুর রশীদ, রাঙ্গামাটি ঃ ‘রাঙ্গামাটির পর্যটন উন্নয়নে’ ৬শ কোটি টাকা বরাদ্ধ করেছে পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রনালয়। বুধবার জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে হিসেবে প্রধান অতিথি ঘোষনা করেছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা।

সেমিনারে অতিরিক্ত সচিব মো. কামাল উদ্দিন তালুকদার, যুগ্ম সচিব সুদত্ত চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান তরুণ কান্তি ঘোষ, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম কুমার চাকমা, জেলা প্রশাসক মো. মানজারুল মান্নান, জেলা পরিষদের মুখ্য সচিব এসএম জাকির হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী আবদুস সামাদ, রাঙ্গামাটি পৌরসভা মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য, সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা, উন্নয়ন সংগঠক, সুশীল সমাজের নেতা ও মিডিয়াকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে পর্যটন সংক্রান্ত কার্যক্রম ও সুপারিশ বাস্তবায়ন অগ্রগতি উপস্থাপন করেন জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জাকির হোসেন এবং কনসালটেন্ট প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী আবদুস সামাদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, পর্যটন সংক্রান্ত কমিটির আহবায়ক ও জেলা পরিষদের সদস্য অমিত চাকমা রাজু।

সেমিনারে জানানো হয়, পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে বিশেষ পর্যটন জোন গঠনের জন্য এর মধ্যে তৈরি হয়েছে একটি মাস্টার প্লান। এটি বাস্তবায়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৬শ’ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব দেয়া হয়েছে সরকারকে। মন্ত্রণালয়টির ব্যবস্থাপনায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ।

তথ্য উপস্থাপনকালে কর্মকর্তারা বলেন, সদরসহ জেলায় ১০ পয়েন্টে পর্যটন স্থাপনা নির্মাণের জন্য তৈরি করা নক্শাসহ একটি মহাপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। এটি বাস্তবায়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারকে ৬শ’ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব দেয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে- যা ডিপিপি অনুমোদনের অপেক্ষায়। পরিকল্পনাটির সঠিক বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার জন্য একটি পৃথক নীতিমালা প্রণয়নের জন্য পার্বত্য মন্ত্রণালয়ে এর খসড়া পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম পর্যটন উন্নয়ন বোর্ড’ নামে একটি স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা গঠনের প্রস্তাবও আনা হয়েছে।

সেমিনারে মাস্টার প্লানটির বিস্তারিত তুলে ধরে কর্মকর্তারা জানান, রাঙ্গামাটি শহরের ফিশারিঘাট থেকে পুরাতন বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত সংযোগ সড়কের দুই পাশে পর্যটকদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের গ্যালারি নির্মাণ, উভয় দিকের আশেপাশের দ্বীপগুলোকে সংযুক্ত করতে আধুনিক মানের ক্যাবল ব্রিজ নির্মাণ ও ক্যাবল কার সংযোগ স্থাপন, কাপ্তাই হ্রদের ভাসমান টিলাগুলোতে রেস্টুরেন্ট ও গেস্ট হাউস নির্মাণ, শহরের পর্যটন মোটেল এলাকায় আধুনিক মানের বিনোদন স্পট, সুইমিং পুল, ক্যাবল কার সংযোগ স্থাপন, প্যাডল বোট, ওয়াটার ট্যাক্সী চালু, শহরের জিরো পয়েন্টের লাভপয়েন্ট স্পট উন্নয়, লুসাই পাহাড়ে আবাসিক গেস্ট হাউস নির্মাণ, বালুখালী হর্টিকালচার এলাকায় কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ, শহীদ মিনার এলাকায় ৪০ কক্ষের একটি আবাসিক হোটেল নির্মাণ, সুবলং ঝরনা স্পট উন্নয়ন, নির্বাণপুর বৌদ্ধ বিহার স্পট উন্নয়ন, শহরের প্রবেশমুখ মানিকছড়ি এলাকায় পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, আসামবস্তী-কাপ্তাই সড়কে গ্যালারি স্টেট ভিউ সাইট, ঘাগড়ায় ক্যাফেটরিয়া এবং কাপ্তাই নতুনবাজার এলাকায় থ্রি স্টার হোটেল নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!