রাঙ্গামাটিতে দুটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

রাঙ্গামাটিতে দুটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন 1চৌধুরী হারুনুর রশীদ, রাঙ্গামাটি : রাঙ্গামাটিতে দুটি একক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। রোববার বিকাল ৩টায় শহরের রাজবাড়ির সাবারাং রেস্টুরেন্টে ‘কিযিঙৎ পুগোবেল’ এবং ‘আলোর পথ দেখালো যারা’ নামে দু’টি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা।
‘কিযিঙৎ পুগোবেল’ বাংলা ও ইরেজি অনুবাদসহ প্রথম চাকমা কাব্যগ্রন্থ এবং ‘আলোর পথ দেখালো যারা’ গ্রন্থটি কিছু পাহাড়ি ব্যক্তিত্বের জীবনকাহিনী নিয়ে লেখা। বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী প্রমোদ বিকাশ কার্বারি ওরফে ফেলাজেয়া চাকমার লেখা এ দু’টি বই প্রকাশ করেছেন, স্থানীয় রেগা প্রকাশনীর ইন্টুমণি তালুকদার। কবি ও লেখক প্রমোদ বিকাশ কার্বারি বর্তমানে রাঙ্গামাটি হিল পয়েন্ট স্কুলের অধ্যক্ষ।
অবসরপ্রাপ্ত উপ-সচিব প্রকৃতি রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চাকমা সার্কেল চিফ রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়। এছাড়া বিশিষ্টজন বিজয় কেতন চাকমা, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চিংকিউ রোয়াজা ও সাহিত্যিক শিশির চাকমা আলোচনায় অংশ নেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, কবি ও লেখক প্রমোদ বিকাশ খীসা।
প্রধান অতিতির বক্তব্যে সন্তু লারমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্ম জনগণকে সবচেয়ে বেশী বিপর্যস্ত করেছে ১৯৬০ সালে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণের ফলে। কাপ্তাই বাঁধের জলে তলিয়ে গেছে এখানকার মানুষের জায়গা-জমি, বাস্তুভিটা, বাড়িঘর, ফসল, সহায়সম্বল। সবকিছু হারিয়ে উদ্বাস্তুর শিকার হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। তারা আজও পুনর্বাসিত হতে পারেনি। খুঁজে পায়নি নিজেদের জীবনজীবিকা।
রোববার রাঙ্গামাটিতে অনুষ্ঠিত দু’টি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সন্তু লারমা।
সন্তু লারমা বলেন, কাপ্তাই বাঁধ হয়েছে জুম্ম জনগণের মরণফাঁদ। অর্থনৈকিত সহায় সম্বলসহ জুম্ম জনগণের সবকিছু কেড়ে নিয়েছে অভিশপ্ত এই কাপ্তাই বাঁধ। এতে হারিয়ে গেছে তাদের বাস্তবতা। কবি ও লেখক প্রমোদ বিকাশ কার্বারি তার লেখায় সেই করুণ বাস্তবতার বিষয়বস্তু তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!