রাঙামাটিতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ, ‘ধর্ষকের’ মা-বাবাসহ মামলার আসামি ৬

রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। ঘটনার সময় ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির আঘাতে ভুক্তভোগীর মা গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে গত ১৪ ডিসেম্বর ঘটনাটি ঘটলেও ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় গতকাল মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে তিনি বাদি হয়ে কাউখালী থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। মামলায় অভিযুক্ত মো. তাওজিতসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এ মামলায় ধর্ষণে অভিযুক্ত মো. তাওহিদসহ (১৮) পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন- তাওহীদের মা হাসিনা বেগম (৪০) ও বাবা জাকির হোসেন (৪৫), নূর জাহান (৩০), মো. আমির হোসেন (২৫) ও মোছাৎ গোলাপ নূর (৪৫)।

পুলিশ ও মামলার বাদি জানান, বছরখানেক আগে স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তিন মেয়েকে নিয়ে উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নে বসবাস করে আসছেন তিনি। গত ১৪ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী মেয়েকে রেখে তিনি বাজার করতে চাইঞোরিবাজারে যান। এ সুযোগে প্রতিবেশী জাকির হোসেনের ছেলে মো. তাওহিদ (১৮) মেয়েকে ঘরে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনাটি কাউকে না জানাতে ভুক্তভোগী ও তার মাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ধর্ষণের পর ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে পালানোর সময় এক প্রতিবেশী তাওহিদকে দেখতে পান।

এদিকে এ ঘটনায় দু-দফায় ভুক্তভোগী ও তার মাকে মারধরের অভিযোগ রয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে। মারধর করায় স্থানীয়রা ভুক্তভোগীর মাকে উদ্ধার করে কাউখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার রাতে কাউখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ আলী জানান, ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর মা। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!