রাঙামাটিতে সিএনজি অটোরিকশা জটে ভোগান্তি

রাঙামাটিতে অতিরিক্ত সিএনজি ও টুস্ট্রোক অটোরিকশার কারণে পৌরশহরে লেগে তাকে দীর্ঘ যানজট। এতে ভোগান্তি বেড়েছে পৌরবাসীর। সড়কের দুই পাশে পার্কিং থাকা অতিরিক্ত বাহনই এই যানজটের মুল কারণ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

রাঙামাটি বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে , বিআরটিএ রেজিস্ট্রেশন আছে ৬৪০টি অটোরিকশার, আবেদন জমা পড়েছে আরো ৬৮১ । এছাড়াও চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি রেজিস্ট্রেশন করা সিএনজি অটোরিকশা এবং রেজিস্ট্রেশনবিহীন শুধু টোকেন নির্ভর অবৈধ আরো ৫ শতাধিক সিএনজি ও টুস্ট্রোক রয়েছে । বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে ১৮২১ টি বাহন থাকার কথা হলেও সড়কে প্রায় ২ হাজারের অধিক সিএনজি চলাচল করছে।

রাঙামাটি ‘নিরাপদ সড়ক চাই’—এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সোলায়মান বলেন, সড়ক নিরাপত্তায় বিধিমালা মানছে না কেউই। এতে কেবল যানজট নয় বেড়ে যায় দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও।

সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও রাঙামাটি অটোরিকসা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ শহিদুজ্জমান রোমান প্রতিবেদককে বলেন, ‘রাঙামাটি শহরে আদিবাসী যান্ত্রিক কল্যাণ সমিতি ও অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্তি ছাড়াই চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়িতে সিএনজি অটোরিকশা ও অবৈধভাবে টুস্ট্রোকও চলাচল করছে। রাঙামাটি দুটি সংগঠনের সিএনজি চালকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে অতিরিক্ত সিএনজি অটোরিকশা বন্ধ করা হলে আমাদের কোন আপত্তি থাকবে না।

বিআরটিএ সার্কেলের ছিদ্দিকুর রহমান প্রতিবেদককে জানান, রেজিস্ট্রেশনবিহীন অবৈধভাবে কতটি সিএনজি চলাচল করছে বিআরটিএর জানা নেই । অবৈধ সিএনজি চলাচলে জেলাপ্রশাসকের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মাঝে মধ্যে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অর্থদণ্ড করা হয়। জেলা প্রশাসক সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে সিদ্ধান্ত দিলে সেটা আমরা কার্যকর করতে বদ্ধপরিকর ।

রাঙামাটি বিআরটিএ সার্কেলের সহকারী পরিচালক এমডি শাহআলম প্রতিবেদকে বলেন, একটি জেলায় কত গাড়ি চলবে তা নির্ধারণ করেনি সরকার । এটা ওই এলাকার জনসংখ্যার ওপর নির্ভর করে ।

এদিকে জেলা প্রশাসক আইন-শৃংখলা সভায় রেজিস্ট্রেশনবিহীন অবৈধ ত্রিহুলার (সিএনজি ও টুস্ট্রোক) সরাতে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন ।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!