রাঙামাটিতে ‘বিদ্রোহী’ স্বতন্ত্র প্রার্থিদের জয়জয়কার, ১৭ ইউপির ১৩টিতেই স্বতন্ত্র

সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে রাঙামাটি জেলার তিন উপজেলার ১৭ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের চার প্রার্থী। বাকি ১৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বেসরকারি এই ফল ঘোষণা করা হয়। এদিন সকাল থেকে লংগদু, বাঘাইছড়ি ও জুরাছড়ি উপজেলার ১৭ ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন।

নির্বাচনে বাঘাইছড়ির আট ইউনিয়নের মধ্যে একটি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী এবং বাকি সাতটি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। তারা হলেন- বাঘাইছড়িতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী অলিভ চাকমা এবং রুপকারী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী জ্যাসমিন চাকমা (ধনেশ্বর), সারোয়াতলী ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকে ভূপতি রঞ্জন চাকমা, আমতলী ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে মজিবুর রহমান, খেদারমারা ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে বিল্টু চাকমা, মারিশ্যা ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে আপন চাকমা, বঙ্গলতলী ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকে জ্ঞান জ্যোতি কার্বারি এবং সাজেক ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে অতুলাল চাকমা।

এর মধ্যে আমতলী ইউনিয়নে নির্বাচিত চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী ছিলেন। এছাড়া জ্যাসমিন চাকমা বিজয়ী হন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।

লংগদুতে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়া সাত ইউনিয়নের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে তিনটিতে নৌকার প্রার্থী এবং চারটিতে স্বতন্ত্র ( তিনটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এবং একটিতে বিএনপি) প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আর জুরাছড়ির দুই ইউনিয়নেই চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

লংগদুতে বিজয়ী আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা হলো- আটারকছড়া ইউপিতে অজয় কুমার চাকমা (মিত্র), গুলশাখালীতে নৌকা প্রতীকে শফিকুল ইসলাম এবং বগাচত্বরে নৌকা প্রতীকে আব্দুল বশর। ভোটে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন— ঘোড়া প্রতীকে ভাসান্যাদম হযরত আলী, মাইনীমুখ ইউপিতে আনারস প্রতীকে কামাল হোসেন কমল এবং লংগদু ইউনিয়নে কুলিন মিত্র চাকমা (আদু)।

তারা তিন জনই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েছিলেন। আর কালাপাকুজ্যা ইউনিয়নে আনরস প্রতীক নিয়ে জয়ী বারেক দেওয়ান বিএনপির স্থানীয় নেতা হিসেবে পরিচিত।

কেএস