রাঙামাটিতে জুম ফাউন্ডেশনের পুষ্টি প্রকল্প প্রশ্নের মুখে

তিন পার্বত্য জেলায় পুষ্টি নিয়ে কাজ করতে চায় স্থানীয় এনজিও জুম ফাউন্ডেশন। সোমবার ( ৬ মে) এ প্রকল্প উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ও অংশগ্রহণকারীরা উদ্যোক্তাদের নানা প্রশ্ন করেন। রাঙামাটিতে তাদের এই প্রকল্প এখন প্রশ্নের মুখে।

জানা গেছে, শুরুতেই প্রশাসনের কোন প্রতিনিধি ছাড়া উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এ প্রকল্পটির বাস্তবায়ন নিয়ে শংকার কথা উঠছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রামের দূর্গম এলাকাগুলোতে কী ধরনের প্রকল্প নেয়া হবে তার কোন সঠিক ধারণাও উপস্থাপন করতে পারেনি। পাহাড়ে ১৮ উপজেলায় ৭৮ ইউনিয়নে পুষ্টি নিয়ে কী ধরনের কাজ করবে তারা তা স্পষ্ট করতে পারেনি সংগঠনটি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সোমবার (৬ মে) সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সভাকক্ষে প্রকল্পটির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব নিয়ে প্রশ্ন করেন অংশগ্রহণকারীরা। তিন পার্বত্য জেলার ১৮ উপজেলার ৭৮ ইউনিয়ন এ প্রকল্পের আওতায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে ১১ কোটি ৫০ লাখ ৮ হাজার ২২১ টাকা ব্যয় কেবলমাত্র কাগজে কলমেই। পার্বত্য এলাকায় এসব এনজিও কার্যক্রম পরিচালনার পূর্ব কোন অভিজ্ঞতা ছিল না সংগঠনটির।

উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে শান্তি চুক্তির পরে পাহাড়ে বিদেশি দাতা সংস্থার অর্থায়নে শত শত এনজিও গড়ে উঠেছে। এনজিও ব্যুরো বিধিমালা না মেনে কাজ করায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অনুসন্ধান করে অনিয়মের কারণে অনেক স্থানীয় এনজিও নিবন্ধন বাতিল করা হয়। বিভিন্ন প্রকল্পে স্থানীয় কিছু এনজিও নদীপথে ভ্রাম্যমাণ স্থাস্থ্য ক্যাম্প দেখিয়ে প্রায় ১৩ কোটি টাকা বিল উক্তোলন করার খবর পাওয়া গেছে।

ওই ‌উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ছিলেন পরিষদ সদস্য রেমলেয়ানা পাংখোয়া। তিনি বলেন, ‘১৯৯৭ সালে চুক্তি অনুযায়ী পার্বত্য জেলা পরিষদে বিভিন্ন সরকারি বিভাগ হস্থান্তর হয়েছে। দুর্গম এলাকায় যাতায়াতের অবস্থা ও যোগাযোগের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়েতারা কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ রেখেছে। এসব প্রকল্পের সরকারিভাবে মনিটর করা হয় না ফলে দুর্নীতি হচ্ছে।’

এ বিষয়ে প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখায়াত হোসেন রুবেল বলেন, এনজিওদের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা না থাকায় ওভারলেপিং হচ্ছে। হ্যান্ডওয়াস কার্যক্রম ইউনিসেপের অর্থায়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়নবোর্ডের পাড়া কেন্দ্রে দৃশ্যমান কার্যক্রম চালু রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে অর্থায়নে ২৩ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কোথায় বাঁশ প্রকল্প করেছে আমরা জানি না । জেলা প্রশাসনের ন্যায় প্রতিটি প্রকল্পে মিডিয়াকে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান।

স্থানীয় এনজিও হিলাহিলির নিবার্হী পরিচালক টুকু তালুকদার বলেন, পুষ্টিহীনতায় কথা বলে পাহাড়ের মানুষকে ধোকা দিতে এসব কাজ শুরু করেছে। ৭৮ ইউনিয়নে এসডিজি পুরণের জন্য কতটুকু কাজ করতে পারবে বাস্তবে স্পষ্টভাবে কিছু বোঝা যাচ্ছে না। জেলাপরিষদের সদস্য ও সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির সম্পৃক্ততা দেখিয়ে সেমিনার আয়োজন কারীরা মূলত শুধিু ফটোসেশন করেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!