রাঙামাটিতে জঙ্গি-কেএনএফের ১৭ জন আদালতে, পক্ষে ছিলেন না কোন আইনজীবী

আসেননি পরিবারের সদস্যরাও

বান্দরবানের সীমান্তবর্তী এলাকা ও রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়ন থেকে র‌্যাবের অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১৭ আসামিকে রাঙামাটির একটি আদালতে হাজির করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে রাঙামাটির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার পারভীনের আদালতে তোলা হলে আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী ও পরিবারের সদস্য উপস্থিত না থাকায় আদালত আগামী ১৪ ডিসেম্বর পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করে আসামিদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

আসামিরা হলেন সৈয়দ মারুফ, রফু মিয়া, কাউসার শিশির, আবু বক্কর সিদ্দিক, ইমরান হোসাইন, জাহাঙ্গীর আহমদ, ইব্রাহিম আলী, মালসম বম, স্টিফেন বম, জৌথান স্যাং বম, লাল রৌসাং বম, লাল জৌখুম বম, লাল কিপ পাংখুয়া, লাল লিয়ান খুম বম, লাল খোনাতিয়াম বম, লাল হিমসাং বম ও শলোমন বম। এরা সকলেই সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করা কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়’র সদস্য।

রাঙামাটি কোর্ট পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন চন্দ্র সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ১৭ জন জঙ্গি ও কেএনএফ সদস্যকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। আদালত আগামী ১৪ ডিসেম্বর পরবর্তী ধার্য তারিখ দিয়েছেন।

সম্প্রতি বান্দরবান ও রাঙামাটি জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় র‌্যাব অভিযান চালিয়ে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়’র ৭ সদস্য ও কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ৩ জন ও পরবর্তীতে আরও ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। আসামিদের বিরুদ্ধে রাঙামাটির বিলাইছড়ি থানায় ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়’র সদস্যরা অর্থের বিনিময়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিতো।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!