রাঙামাটিতে কার্টুন ও কমিক্সের গল্প শুনলো শিশুরা

কার্টুন আর কমিক্সের মাঝে সাধারণ তফাৎ হল ফ্রেম বা ক্যানভাসের ব্যবহারে। কার্টুনে সাধারণত একটা ফ্রেমেই গল্প শেষ করে ফেলা হয়। তবে কমিক্সে ফ্রেমের পর ফ্রেম ব্যবহার করে গল্পের চিত্রায়ণ সাজানো হয়। এছাড়া একই ফ্রেমের মাঝেও আরও ছোট ছোট ফ্রেম ঢুকিয়েও মজার গল্প ফাঁদেন কার্টুন শিল্পীরা। রাঙামাটি ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫০ জন ভাবি ‘কার্টুন শিল্পী’ জানলেন এ রূপগল্প।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে ‘জীবন স্কিলস ড্রপস’ ও ‘ঢাকা কমিক্সের’ যৌথ আয়োজনে শহরের প্রাণকেন্দ্র বনরুপায় সকাল ১০টা থেকে পাঠ নিতে হাজির হয়েছিলেন তারা। বেসিক থেকে বিভিন্ন শেপের মাধ্যমে কার্টুন ও কমিক্স আঁকা শিখেছেনও।

মূলত কার্টুন শিল্পে শিশুদের মেধা বিকাশ ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যের পাশাপাশি কার্টুনের শিল্পের জনপ্রিয়তা বাড়াতে রাঙামাটিতে প্রথমবারের মতো কার্টুন ও কমিক্স ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হলো।

‘জীবন’ এর সাধারণ সম্পাদক সাজিদ-বিন-জাহিদের (মিকি) সঞ্চালনায় কর্মশালা পরিচালনা করেন ঢাকা কমিক্সের প্রতিষ্ঠাতা মেহেদী হক, প্রজেক্ট টিকটালিকের প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক নাসরিন সুলতানা মিতু, ঢাকা কমিক্সের কার্টুনিস্ট রমেল বড়ুয়া ও সিসিমপুরের কার্টুনিস্ট সব্যসাচী চাকমা প্রমুখ।

এছাড়াও কর্মশালায় সেশন পরিচালনা করেন, রাঙামাটির বিখ্যাত চিত্রশিল্পী মো. ইব্রাহিম। অতিথি ছিলেন, রাঙামাটি সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম, রাঙামাটি বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের উপাধ্যক্ষ পারভেজুল ইসলাম সুমন, সমাজসেবক জাহাঙ্গীর আলম মুন্না, জীবনের সহ-সভাপতি ইউনুস সুমন, জীবন রাবিপ্রবি শাখার সদস্যসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে সাজিদ জানান, আজকের এ কার্টুন ও কমিক্স কর্মশালার মাধ্যমে শিশুরা জানতে পারবে, শিখতে পারবে, কার্টুন আঁকার ‘অ আ ক খ’। ফ্রেমে বাঁধা কাগজে ঝোলানো আছে, কীভাবে থাম্বনেইল, লে আউট, পেন্সিলিং, ইংকিং, লেটারিং ও ডায়ালগের মতো ধাপে ধাপে তৈরি করা যায় কার্টুন আর কমিক্স।

‘জীবন স্কিল ড্রপস’র পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে এমন দক্ষতা উন্নয়নমূলক একাধিক কর্মশালার আয়োজন করা হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন উদ্যোক্তারা। আর ‘ঢাকা কমিক্স’র পক্ষ থেকে কয়েকটি চরিত্রকে আরো মাস্টারিং করে পরবর্তীতে প্রকাশিত হবে কমিক্স বই।

অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেকে কর্মশালা শেষে নিজেদের চিন্তাশক্তি কাজে লাগিয়ে এঁকেছে নিজেদের সুপারহিরো। কর্মশালা শেষে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!