রাখাইন যুবককে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা, কাতরাচ্ছে হাসপাতালের বেডে

মং চিং থোইন নামের ৩০ বছরের এক রাখাইন যুবককে গলা কেটে হত্যা করার চেষ্টা করছে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজার জেলার হারবাং ইউনিয়নের গুনামিজু বৌদ্ধ বিহারের পাশের ব্রিজে এ ঘটনা ঘটে। আহত মং চিং থোইন রাখাইন পাড়ার আপ্রুমং রাখাইনের ছেলে।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়ার মালুমঘাট খ্রিষ্টান মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করান। কিন্তু অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে চকরিয়া থেকে নিয়ে এসে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মং এর অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেলের নিউরোসার্জারী বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে কি কারণে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে সে বিষয়ে কেউ নিশ্চিত করতে পারেন নি।

স্থানীয়রা জানান, নিজ এলাকায় মাছের প্রজেক্ট করতেন মং। প্রায় সময় তার মাছের প্রজেক্ট থেকে মাছ চুরির ঘটনা ঘটতো। তাই মধ্যরাত পর্যন্ত তিনি পাহারা দিতেন প্রজেক্ট। ইতোমধ্যে কয়েকজন চোরকে হাতেনাতেও ধরেছেন ‍তিনি। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মাছের প্রজেক্ট থেকে বাড়ি আসার সময় গুনামিজু বৌদ্ধ বিহারের পাশে ব্রিজের উপর অন্ধকারে ৩-৪ জন অজ্ঞাত যুবক পিছন থেকে মাথায় আঘাত করে গলা কাঁটার চেষ্টা করে। এ সময় মং-এর চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসায় হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

হাবিব গ্রুপে কর্মরত আহত মং এর ভাগিনা পরিচয়ে কে কে রাখাইন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমার মামা কোনও রাজনৈতিক সংগঠন কিংবা অন্য কোনও ঝামেলার সঙ্গে যুক্ত নয়। আগে ড্যান্ডি ডাইন নামক একটা ফ্যাশন হাউজে চাকরি করলেও দু’বছর আগে থেকে তিনি মাছের প্রজেক্ট করছেন। তাতে তিনি সফলও হচ্ছিলেন। হয়তো তার উন্নতি দেখে কেউ ঈর্ষান্বিত হয়ে এ কাজটি করে থাকতে পারে।’

কারা হামলা করতে পারে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মামা এখনও কথা বলতে পারছেন না। একটু সুস্থ হলে সব তথ্য নিয়ে অবশ্যই মামলা করবো।’

এদিকে, ঘটনার পর এলাকাবাসী তল্লাশি চালিয়ে দুর্বৃত্তকে খুঁজে না পেলেও হামলায় ব্যবহৃত চাকুটি উদ্ধার করেছেন তারা।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত নায়েক শিলাব্রত বড়ুয়া চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে একটা রাখাইন ছেলেকে গলা কাঁটা অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। সে (মংসিন থোইন) চট্টগ্রামের বাইরের বলে আমি আর গুরুত্ব দিইনি।’

বিশ্বজিত/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!