রাউজানে দুর্গম পাহাড়ে ডাকাত আলমের অস্ত্রের কারখানা
গুলিবিনিময়ের পর গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের রাউজানের দুর্গম পাহাড়ে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। অভিযানে তালিকাভুক্ত শীর্ষ ডাকাত আলমগীর (৪১) প্রকাশ আলম ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ২০টি অস্ত্র ও অস্ত্র বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (২০ নভেম্বর) ভোররাতে উপজেলার পূর্ব রাউজানের রাবার বাগান ঘোড়া শামসুর টিলা এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
গ্রেপ্তার ডাকাত আলমগীর রাউজান পৌরসভার পূর্ব রাউজান এলাকার সিদ্দিক চৌধুরী বাড়ির মোহাম্মদ আব্দুল সাত্তারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে রাউজান, পাঁচলাইশ ও চান্দগাঁও থানায় খুন, ডাকাতি ও অস্ত্র মামলাসহ মোট ১৭টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে রাউজান থানা পুলিশ।
উদ্ধার করা অস্ত্র ও সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে, দেশীয় তৈরি ১০টি শর্টগান, ৬টি পাইপ গান, ৩টি একনলা বন্দুক, একটি গ্যাস গান সদৃশ্য অস্ত্র, পুরাতন ম্যাগজিন একটি, ৭টি কার্তুজ, ৭টি কার্তুজের খোসা, ২৭টি কাঠের বাট, একটি ছোট লেদ মেশিন, একটি পাম্প বক্স ও হ্যান্ড ড্রিল মেশিন।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেপায়েত উল্লাহ বলেন, ‘বুধবার ভোররাতে পূর্ব রাউজানের একটি দুর্গম পাহাড়ে ঘোড়া শামসু টিলার উপর কিছু লোক অস্ত্র তৈরি করে বিক্রি করছে এমন খবর পেয়ে রাউজান থানা পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আলম ডাকাত ও তার অনুসারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ১৫ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও ৫ রাউন্ড গুলি করে। বেশ কিছুক্ষণ গোলাগুলির পর আলম ডাকাত অস্ত্র ফেলে দিয়ে ধারালো ছুরি নিয়ে পুলিশের দিকে তেড়ে আসে। একপর্যায়ে পুলিশ তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।’
তিরি আরও বলেন, ‘অভিযানের সময় আমিসহ ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তারা হল উপ-পরিদর্শক সাইমুল ইসলাম, কনস্টেবল মহসিন রেজা, শেখ জাবেদ মিয়া।’
স্থানীয়রা জানায়, ‘ডাকাত আলম এলাকায় ছিল মূর্তিমান আতংক। সে কয়েকমাস আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে নাশকতার উদ্দেশ্যে এ অস্ত্র তৈরির কারখানাটি গড়ে তুলেছিল।’
গ্রেপ্তার আলম ডাকাতের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওসি কেপায়েত উল্লাহ।
এএইচ