রাউজান প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম :
চট্টগ্রামের রাউজানে শয়ন কক্ষে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে এক ওমান প্রবাসির স্ত্রী।
গতকাল বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের মধ্যম আধাঁর মানিক গ্রামের ফুলের বাপের বাড়ীতে। আত্মহননকারী গৃহবধুর নাম ঝুমুর বড়ুয়া (৩০)। তিনি ওই বাড়ীর সুদির বড়ুয়ার ওমান প্রবাসি ছেলে ছোটন বড়ুয়ার স্ত্রী।
আত্মহননকারী গৃহবুধুর পিতা একই উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের আবুরখিল গ্রামের ওমান প্রবাসি মৃদুল বড়ুয়া বলেন, গত বুধবার সকালে মেয়ে জামাই ছোটন বুড়য়া আমার বিদেশ চলে যাওয়ার টিকিট করতে চট্টগ্রাম শহরে বিমান অফিসে যায়। এরমধ্যে স্বামীর অনুপস্থিতিতে বেলা আড়াইটার দিকে মেয়ে ঝূমুর শশুর বাড়ীতে শয়ন কক্ষে রুমে দরজা আটকে ভেন্টিলেটারের গ্রিলের সাথে রশি পেছিয়ে আত্মহত্যা করে। আমরা খবর পেয়ে ছুটে আসি।
তিনি বলেন গত ৬ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। পারিবারিকভাবে তাদের সাংসারিক জীবনে কোন ধরনের কলহ ছিলনা। দাম্পত্য জীবনে তাদের ৫ বছর ও ২ বছরের ২টি কন্যা সন্তান রয়েছে। মেয়েটা কেন আত্মহত্যা করলো তাও বুঝতে পারছিনা।
ভাসুর রাজু বড়ুয়া বলেন, দুপুরে পরিবারের সবাই একসাথে ভাত খেয়ে বাচ্চা নিয়ে নিজ রুমে ঘুমাতে যায় ঝুমুর। বেশ কিছুক্ষণ সাড়া না পেয়ে রুমের দরজা ভেঙ্গে দেখি ফাঁসিতে ঝুমুরের লাশ ঝুলছে।
পূর্ব গুজরা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোহসিন রেযা বলেন, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মেয়েটি আত্মহত্যার আগে একটি চিরকুট লিখে যায়। তাতে সে লিখে এ মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমার নিজের ইচ্ছায় এটা করলাম।
রাউজান থানার ওসি কেফায়াত উল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মেয়ের বাবা মা ও শশুর পক্ষের অনুরোধে ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ সৎকার করা হয়েছে।
রিপোর্ট : জয়নাল আবেদিন, রাউজান প্রতিনিধি :
এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::