রাউজানকে সাম্প্রদায়িকমুক্ত রেখেই সকল ধর্মের অধিকার সংরক্ষণ করা হয়েছে-এবিএম ফজলে করিম

রাউজান প্রতিনিধি : 
আসন্ন শারদীয়া দূর্গোৎসবকে সামনে রেখে বণার্ঢ়্য আয়োজনের মাধ্যমে সম্পন্ন হল দক্ষিণ রাউজান পুজা উদযাপন পরিষদের বার্ষিক আলোচনা সভা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার গশ্চি নয়াহাটস্থ অতিথি গার্ডেনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রেলপথ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধূরী এম.পি।

raozan-pic-puja-d

প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ- খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক ও মানবাধিকারকর্মী এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত। পরিষদের সভাপতি প্রকাশ শীলের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক ম্যালকম চক্রবর্তির সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হোসেন, বাংলাদেশ হিন্দু ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার মজুমদার, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি শ্যামল পালিত, সাধারন সম্পাদক অসীম কুমার দেব, রাউজান উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের (উত্তর) সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান প্রিয়তোষ চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট দীপক দত্ত, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী নিখিল চন্দ্র চৌধুরী, পৌর কাউন্সিলর এডভোকেট সমীর দাশগুপ্ত, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ দিদারুল আলম, চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন আহমদ,চেয়ারম্যান লায়ন সাহাবুদ্দীন আরিফ, চেয়ারম্যান ভূপেশ বড়–য়া, চেয়ারম্যান সরোয়ার্দী সিকদার, চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন, চেয়ারম্যান বিএম জসিম উদ্দিন হিরু, চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুল জব্বার সোহেল, চেয়ারম্যান তসলিম উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান মুনিরুর ইসলাম , উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের( উত্তর) সাধারন সম্পাদক সুমন দে ও যুবলীগ নেতা আ.জ.ম রাশেদ। সহযোগী সঞ্চালক ছিলেন রুবের বৈদ্য ও সুপন বিশ্বাস।

 
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এবিএম ফজলে করিম চৌধূরী এম.পি বলেন, রাউজানকে সাম্প্রদায়িকমুক্ত রেখেই সকল ধর্মের অধিকার সংরক্ষণ করা হয়েছে। সব ধর্মের মানুষকে সাথে নিয়ে রাউজানকে সারাদেশের মধ্যে মডেল উপজেলা করার চেষ্ঠা করছি। এজন্যে দেড়যুগ ধরে রাউজানের উন্নয়নে শ্রম দিয়ে আসছি।
সভার প্রধান বক্তা মানবাধিকারকর্মী এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বরেন, “বিপ্লবী মাস্টার দা সূর্যসেনের জন্মস্থান রাউজান মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় অবদান কম নয়। ২০১২ সালের পর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘু নির্যতন দেখেছি, খুন , ধর্ষণ, নিপীড়ন লক্ষ্য করেছি । আজ আমরা আনন্দের সাথে জানাতে চাই রাউজানে এমন কোন গঠনা ঘটেছে এমন তো ঘটনার কথা আমাদের জানা নেই। একসময় রাউজান সন্ত্রাসের জনপথ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৯৬ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত রাউজানে শান্তি ফিরে এসেছে। তার একমাত্র অবদান এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপির।” তিনি সভায় সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় চালু করার দাবী জানান।
অনুষ্ঠানে বার্ষিক আলোচনা সভা  উপলক্ষে ‘দুর্গতিনাশিনী’ নামের একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়। সভার শেষ পর্যায়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে উপহার স্বরূপ তিন হাজার শাড়ি ও এক হাজার লুঙ্গি বিতরণ করা হয়। সভা শেষে ৬ হাজার মানুষ নৈশভোজে অংশগ্রহন করেন। এছাড়াও দেশের স্বনামধন্য শিল্পিদের পরিবেশনায়  মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সহ সকল ধর্মের মানুষেরা উৎসবে মেতে উঠে।

রাউজান প্রতিনিধি

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!