‘রনির জন্য প্রয়োজনে অনশনে গিয়ে সবাই মরে যাব’

‘রনির জন্য প্রয়োজনে অনশনে গিয়ে সবাই মরে যাব’ 1নিজস্ব প্রতিবেদক : নিহত ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মা জাহিদা আমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকী দিয়ে, বঙ্গবন্ধুকে কটুক্তি করে অনেকে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর রনির মত ত্যাগী ও দক্ষ ছাত্রনেতাদের একটি মহল ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, যতদিন রনির মুক্তি না হবে ততদিন আমি মা হিসেবে পাশে থাকব। প্রয়োজনে আমরা অনশনে গিয়ে সবাই মরে যাব। রনিকে বাচাতেই হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে কোতোয়ারী থানা ছাত্রলীগের উদ্যোগে নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির মুক্তির দাবীতে আয়োজিত মানববন্ধনে সংহতি জানাতে এসে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
জাহিদা আমিন চৌধুরী বলেন, তাসফিয়া, দিয়াজ ইরফান, সোহেল ,সুদীপ্ত , মেহেদী হাসান বাদলদের হত্যার আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের কেউ গ্রেফতার হচ্ছেনা। কিন্তু ছাত্র সমাজের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করতে গিয়ে রনির মত নি:স্বার্থবান ছাত্রনেতারা কতিপয় জাহেদ খানের মত শিক্ষা বানিজ্যকারী জামায়াত শিবিরের অর্থ যোগানদাতাদেরকে মানুষখেকো আওয়ামীলীগ নেতা নামধারী কুচক্রী মহল শেল্টার দেওয়ার কারনে ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে কারাগারে যায়।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, শুনেছি রনিকে ক্রসফায়ার দেওয়ার জন্য অনেক কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আমি শোকাহত মা, প্রতিটা মায়ের সন্তানকে আপনি এসব লুন্ঠনকারীদের হাত থেকে বাচান।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, রনিরা আপনার জন্য আপনার দলের জন্য অনেক কিছু। তাদের যদি আপনি যদি রক্ষা না করেন, তাহলে আজ যারা আপনাকে হত্যার হুমকী দিচ্ছে তারাই একদিন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে আপনার আশেপাশে চলে যাবে। তখন আপনার আদর্শের সৈনিকরা আপনার পাশ থেকে সরে যাবে।
মানববন্ধনে এছাড়াও আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় উপ অর্থ সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান মনসুর, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য গাজী জাফর উল্লাহ, আসহাব রসূল জাহেদ, প্রশান্ত চৌধুরী যীশু, খোরশেদ আহমেদ জুয়েল, শিবু প্রসাদ চৌধুরী সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!