রত্নগর্ভা মা বেগম লায়লা হক মারা গেলেন

মুক্তিযুদ্ধে রাউজানে ‘ওচমান আলী মাস্টার বাড়ির শেল্টার হাউজ’ প্রধান বীরনারী সরকার ও বিভিন্ন সংগঠন-সংস্থা কর্তৃক ‘রত্নগর্ভা মা’ সম্মাননায় ভূষিত বেগম লায়লা হক আর নেই।

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরীর ডেল্টা হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ডায়াবেটিস, কিডনির জটিলতাসহ হৃদরোগে ভুগছিলেন।

মরহুমের প্রথম জানাজা সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) জোহর নামাজের পর রাউজান পশ্চিম গুজরার বাড়িতে, মাগরিবের নামাজের পর ষোলশহর জামেয়া আহমদীয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা মাঠে দ্বিতীয় জানাজা এবং এশার নামাজের পর চট্টগ্রাম নগরীর হযরত গরীব উল্লাহ (র.) শাহ মসজিদের সামনে তৃতীয় জানাজা শেষে সেখানে মরহুমাকে দাফন করা হবে।

বেগম লায়লা হক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও রাউজান থানা আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম এ কে ফজলুল হক চেয়ারম্যানের সহধর্মিনী। উত্তর চট্টগ্রামের আধ্যাত্মিক সাধক পুরুষ ও বড়মাস্টার খ্যাত শিক্ষাগুরু হযরত ওচমান আলী মাস্টার (রহ:)-এর পরিবারের প্রথম পুত্রবধূ তিনি।

৪ ছেলে ও ৫ মেয়ের জননী লায়লা হকের বড় ছেলে সিভিল প্রকৌশলী শওকত ওসমান কুয়েত মিনিস্ট্রি অব ডিফেন্সে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে কর্মরত প্রথম বাংলাদেশি। মেজ ছেলে সফটওয়্যার প্রোগ্রামার শওকত হোসাইন কুয়েত-আমেরিকান যৌথ কোম্পানির কম্পিউটার প্রোগ্রামার। সেজ ছেলে লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালি যুদ্ধাপরাধ বিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় নেতা। ছোট ছেলে শওকত আল আমিন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিসংখ্যানবিদ।

লায়লা হকের বড় তিন মেয়ে স্কুল শিক্ষিকা এবং চতুর্থ জন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের বক্ষব্যাধির লেডি হোম ভিজিটর এবং ছোট মেয়ে আবুল খায়ের গ্রুপে এইচআর বিভাগে কর্মরত।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!