যৌন হয়রানির অভিযোগ ফেসবুকে, ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে ধরা বাসচালক

বাসের ইঞ্জিন কভার সিটে বসা এক নারী যাত্রীকে যৌন হয়রানি করেন চালক। যাত্রীরা এর প্রতিবাদ করলেও বন্ধ হয়নি হয়রানি। পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করলে তা বিআরটিএ ম্যাজিস্ট্রেটের নজরে আসে। বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে চালককে আটক করে চকবাজার থানায় হস্তান্তর করেন।

কাজী দিয়া নামে এক নারী যাত্রী শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় বাহির সিগনাল থেকে চট্টমেট্রো চ ১১-৩৫১৫ নাম্বার বাসে করে বহদ্দারহাট যাচ্ছিলেন। তিনি বাসের সামনে ইঞ্জিন কভারের সিটে বসেন। চালক গিয়ারে হাত দেওয়ার অজুহাতে একাধিকবার তার শরীরে স্পর্শ করেন।

প্রথমে তিনি মনে করেছিলেন হয়তো অনিচ্ছাকৃতভাবে শরীরে হাত লাগছে। একাধিকবার এমনটি ঘটার পরে তিনি বুঝতে পারলেন চালক ইচ্ছা করেই তার শরীরে স্পর্শ করছে। তিনি প্রতিবাদ করলে চালক আবারো ইচ্ছে করে স্পর্শ করতে থাকে। পরে তিনি বাধ্য হয়ে পাসের সিট খালি হলে সেখানে সরে বসেন। তখন চালক তাকে দেখে হাসছিলেন।

সেই বাস আর সেই চালক
সেই বাস আর সেই চালক

বিষয়টি তিনি বিআরটিএ ম্যাজিস্ট্রেটের ফেসবুক পেইজে পোস্ট করলে তা ম্যাজিস্ট্রেটের নজরে আসে।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় চকবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে চালককে আটক করেন বিআরটিএ ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযুক্ত চালক ভোলার মো আবুল কালামের ছেলে মোহাম্মদ আব্বাস (৩০)।

ফেসবুক পেইজে বিআরটিএ ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনার তথ্য দিয়ে জানান, ‘আইনানুযায়ী দু’জন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী পাওয়া না যাওয়ায় কালপ্রিটটাকে তাৎক্ষণিক সাজা দেয়া সম্ভব হয়নি। আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণপূর্বক অপরাধীকে চকবাজার থানায় হস্তান্তর করেছি। অপরাধী বর্তমানে থানার হাজতখানায় আছে। থানা মামলা দিয়ে অপরাধীকে কোর্টে চালান করবে।’

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজাম উদ্দীন বলেন, আটক চালকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়ছে। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

সিএম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!