যৌনশক্তি বাড়ানোর নামে চেতনানাশক বড়ি খাইয়ে সর্বস্ব লুটে নেয় তারা

বাসে উঠে যৌনশক্তি বাড়ানোর বড়ি বিক্রি করেন তাঁরা।বড়ির আড়ালে থাকে চেতনানাশক ওষুধ। কৌশলে ওষুধ খাইয়ে সর্বস্ব লুটে নেয় সংঘবদ্ধ চক্র। এমন চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

চক্রের সদস্য প্রথমে বাসে উঠে একজনকে টার্গেট করে। তাকে যৌন সমস্যা সমাধান সংক্রান্ত বই পড়ানোর ফাঁকে একটা বড়ি খাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিশ্বাস অর্জন করতে প্রথমে নিজেদের লোক একটা বড়ি খেয়ে নেয়।

এরপর টার্গেট করা ব্যক্তি ওষুধ খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে তার শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এরপর তাকে চক্রের সদস্যরা ঘিরে ধরেন। টাকা-মোবাইল নিয়ে গাড়ি থেকে সবাই নেমে পড়েন মুহূর্তেই। চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার বিভিন্ন বাসে চক্রটির হাতে সর্বস্ব হারায় প্রায় ৪০ জন।

এই চক্রের সদস্যদের ফাঁদে পড়ে বড়ি খেয়েছিলেন ৫৪ বয়সী এক ব্যক্তি। ৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

ওই ঘটনার সাথে জড়িত তিন সদস্যকে রোববার (১ জানুয়ারি) গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারক্তরা হলেন- নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ইব্রাহিমের ছেলে মহিন উদ্দিন (৩০), একই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (৪২) ও ফেনী ছাগলনাইয়ার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম (৪২)। তারা সবাই নগরের বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। হালিশহর ও পাহাড়তলী থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসপি) নাজমুল হাসান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘অভিনব কায়দায় বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে সর্বস্ব হাতিয়ে নিত চক্রটি। তাদের দলে চারজন আছে। তিনজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। বাকি একজনকে দ্রু গ্রেপ্তার করা হবে। এই চক্রের সদস্যরা কয়েক প্রকার ওষুধের মিশ্রণে চেতনানাশক বড়ি বানাতেন। এগুলোকে যৌন উত্তেজক বড়ি বলে কৌশলে বাসযাত্রীদের খাওয়ানো হতো। এরপর সবকিছু নিয়ে অভিযুক্তরা গাড়ি থেকে নামতো।’

এই চক্রের ফাঁদে পড়ে মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়ার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘হত্যা মামলাটি ক্লুলেস ছিল। আমরা তথ্যপ্রযুক্তি ও সোর্সের সহায়তায় আসামিদের শনাক্ত করেছি। পাশাপাশি চক্রটির আদ্যোপান্ত বের করে এনেছি। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।করেন’

আরএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!