যৌতুক দাবি ও দ্বিতীয় বিয়ে, স্বামীর ২ বছরের জেল

যৌতুকের দাবিতে এক স্কুল শিক্ষিকাকে নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আহসান উদ্দিন মাহমুদ নামের এক ব্যক্তিকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকার অর্থদণ্ডের সাজা প্রদান করেছেন আদালত। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. মশিউর রহমান খানের আদালত এই আদেশ দেন। দণ্ডিত আহসান উদ্দিন মাহমুদ কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাধীন সামশুদ্দিন মাহমুদের ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ আহসান উদ্দিন মাহমুদের স্ত্রী মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে আহসান উদ্দিন মাহমুদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ আমলে নেন আদালত।

এই মামলায় মোট ৫ জন সাক্ষী আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেন। আসামিপক্ষে উচ্চ আদালতে বাতিল আবেদন করলে তাও খারিজ হয়েছিল। যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত রায়ে আসামিকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকার অর্থদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে হাজির না থাকায় আসামীর বিরুদ্ধে আদালত সাজা পরোয়ানা ইস্যুর আদেশ দেন। আসামি জামিনে গিয়ে পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার কিংবা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণের দিন থেকে সাজার মেয়াদ গণনা ও শুরু হবে।

প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে একই বাদির করা এক স্ত্রী বহাল থাকাবস্থায় দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রহণের অভিযোগে পৃথক (সিআর মামলা নং-২৪৩/১৫) মামলায় আহসান উদ্দিন মাহমুদকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকার অর্থদণ্ডে দন্ডিত করে রায় দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৬ষ্ঠ আদালতের বিচারক মেহনাজ রহমান।

মামলার বাদি স্কুল শিক্ষিকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মো.খোরশেদ আলম চৌধুরী এবং মানবাধিকার আইনজীবী অ্যাডভোকেট এএম জিয়া হাবীব আহসান, অ্যাডভোকেট এএইচএম জসিম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট প্রদীপ আইচ দীপু, অ্যাডভোকেট দেওয়ান ফিরোজ আহমদ, অ্যাডভোকেট সাইফুদ্দিন খালেদ, অ্যাডভোকেট মো. হাসান আলী, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ বদরুল হাসান, অ্যাডভোকেট খুশনুদ রাইসা উশিকা প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি জেসমিন আকতার এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট ছমি উদ্দিন ।

এফএম/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!