যেসব প্রতীক বরাদ্দ হল চট্টগ্রাম সিটির ভোটে

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার (৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রতীক বরাদ্দ দেন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান। প্রথমবারের মত দলীয় মোড়কে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনে মেয়র পদে কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় ৬ মেয়র প্রার্থীদের সকলেই তাদের দলীয় প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। অন্যদিকে কাউন্সিলদের মধ্যে বেশিরভাগ প্রার্থীই তাদের পছন্দের প্রতীক পেয়েছেন। অল্প কিছু জায়গায় লটারির সাহায্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হলেও বেশিরভাগ প্রার্থীর ক্ষেত্রেই প্রার্থীদের কাঙ্খিত প্রতীক মিলেছে লটারি ছাড়াই।

এবারের চসিক নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম চৌধুরী নৌকা প্রতীক এবং জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। বাকিদের মধ্যে বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের এম এ মতিন পেয়েছেন মোমবাতি প্রতীক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবুল মনজুর পেয়েছেন আম প্রতীক, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ওয়াহেদ মুরাদ পেয়েছেন চেয়ার প্রতীক, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের জান্নাতুল ইসলাম পেয়েছেন হাতপাখা প্রতীক।

যেসব প্রতীক বরাদ্দ হল চট্টগ্রাম সিটির ভোটে 1

অন্যদিকে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ঘুড়ি, টিফিন বক্স, লাটিম, মিস্টি কুমড়া প্রতীকের বিষয়েই বেশি আগ্রহ দেখা গেছে। মহিলা কাউন্সিলরদের প্রতীকের মধ্যে আগ্রহ ছিল বেশিরভাগ চশমা, ডলফিন, বই, মোবাইল, আনারসছিল আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে।

এদিকে প্রতীক পাওয়ার পর আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম ও বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন দুজনেই আমানত শাহ (র.) এর মাজার জেয়ারত করে নিজেদের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন।

প্রতীক বরাদ্দের পর দুপুরে নগরের শাহ ছুফি আমানত খান মাজার জিয়ারত করে গণসংযোগ শুরু করেন রেজাউল করিম চৌধুরী। এ সময় রেজাউলের সাথে ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম প্রমুখ।

যেসব প্রতীক বরাদ্দ হল চট্টগ্রাম সিটির ভোটে 2

রেজাউল সেখানে থাকাকালীন সময়েই আমানত শাহর মাজার জিয়ারত করতে আসেন ডা. শাহাদাত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর প্রমুখ।

এ সময় সেখানে আওয়ামী লীগ-বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী ও ডা. শাহাদাত হোসেন কোলাকুলি করেন।

নির্বাচনের বিষয়ে ডা. শাহাদাত বলেন, ‘মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে আমার গণসংযোগ শুরু হলো। আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গিয়েছি। তাদেরকে সমান সুযোগ তৈরি করার জন্য অনুরোধ করেছি। উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করার জন্য বলেছি। আমরা চট্টগ্রামের ২০ লাখ ভোটারকে স্বাগত জানাচ্ছি, তারা যেন উৎসব করে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন।’

অন্যদিকে নির্বাচনী পরিবেশে সুশৃঙ্খল থাকবে বলে আশা প্রকাশ করে রেজাউল বলেন, ‘প্রতিপক্ষের সঙ্গে শতভাগ সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে। তাছাড়া কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হওয়ার সম্ভাবনা আমি দেখছি না।’

নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ শেষে নির্বাচনী প্রচারণায় আচরণবিধির বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখার কথা জানিয়ে হাসানুজ্জামান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আজ থেকে প্রচারণা শুরু হলো। আমরা অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লটারি ছাড়া চাহিদা অনুযায়ী প্রতীক পেয়েছেন প্রার্থীরা। আশা করবো নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থীরা আচরণ বিধি ঠিকভাবে মেনে চলবেন। এই বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ কঠোর থাকবো।

এআরটি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!