যেসব গাছ থাকলে বাড়িতে কমবে মশার উপদ্রব

বর্ষাকাল আসতেই বাড়ছে মশার উপদ্রব। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার ভয় নিশ্চিন্তে থাকতে দিচ্ছে না। এক দিকে মশারি না টাঙিয়ে ঘুমনোর কথা ভাবাও যায় না, অন্য দিকে আবার রাতেও গরমে ঘেমে নেয়ে এককার। সব মিলিয়ে বর্ষা কালে মশার সমস্যা বেশ গুরুতর। তবে আপনার বাগানে যদি এমন কিছু গাছ থাকে তাহলে পুরোপুরি না হলেও অধিকাংশ উপদ্রব কমে যাবে মশার। এছাড়াও ব্যথা উপশম, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাতেও দারুণ উপকার দেবে কিছু গাছ থাকলে। তাহলে জেনে নিন কি কি গাছ আপনার বাড়ির আঙ্গিনায় লাগাবেন
image_28598
১. লেমন থাইম: বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন লেমন থাইমের পাতা গুঁড়ো করে ঘরে রাখলে মশার উপদ্রব ৬২% পর্যন্ত কমানো যায়।
২. ল্যাভেন্ডার: শুধু মশা তাড়ানোর জন্য নয়, ল্যাভেন্ডারের রয়েছে আরও প্রচুর গুণ। উৎকণ্ঠা, ব্যথা উপশম, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাতেও দারুণ উপকারী ল্যাভেন্ডার।
৩. লেমন বাম: লেবু পাতার সুগন্ধ যেমন মশা তাড়াতে সাহায্য করে,  তেমনই এই গাছের পাতা দিয়ে তৈরি হার্বাল চা হজমের সমস্যা, ঘুমের সমস্যাতেও উপকারী। বাগানে লেবু গাছ লাগানোও সহজ।
৪. তুলসি: ভারতীয়দের আর নতুন করে তুলসির গুণের কথা বলার প্রয়োজন নেই। বাড়িতে তুলসিতলা রাখাই হত চারপাশের পরিবেশ জীবাণুমুক্ত, বিশুদ্ধ রাখার জন্য। আবার মশা তাড়াতেও সাহায্য করে তুলসি।
৫. লেমন গ্রাস: এই গাছের মধ্যে থাকে ন্যাচারাল অয়েল সিনট্রোনেলা যা মশা  তাড়ানোর কাছে ব্যবহার করা হয়। বাড়িতে লেমন গ্রাস লাগালে তাই রেহাই পেতে পারেন মশার হাত থেকে।
৬. ক্যাটনিপ: এই পুদিনা জাতীয় গাছকে বলা হয় মশার যম। যে কোনও মসকিউটো রিপেলেন্টের থেকে ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী ক্যাটনিপ।
৭. রোজমেরি: বাগানে যদি রোজমেরি গাছ লাগান তাহলে মশার হাত থেকে রেহাই তো পাবেনই, সঙ্গে জুটবে আরও অনেক উপরি পাওনা।
সুগন্ধী রোজমেরি শুঁকলে স্মৃতিশক্তি ও মনোসংযোগ বাড়ে। ঔষধী গুণও রয়েছে রোজমেরির। ব্যবহার করতে পারেন রান্নাতেও।
৮. রসুন: রান্নায় স্বাদ বাড়ায়, ইনফেকশন সারাতে সাহায্য করে, রসুনের এই গুণগুলো তো জানতেন। কিন্তু জানতেন কি বাড়িতে রসুন গাছ লাগালে মশার উপদ্রবে থেকেও রেহাই পাওয়া যায়?
৯. গাঁদা: এই ফুল লাগালে শুধু যে দেখতে সুন্দর লাগে তাই নয়, পোকামাকড়ও থাকে শতহাত দূরে। গাঁদা গাছে থাকা পাইরেথ্রামের গন্ধ পোক-মাকড়,  মশা সহ্য করতে পারে না। বাগানের চারপাশ জুড়ে লাগাতে পারেন গাঁদা গাছ। শোভাও বাড়বে, মশাও হবে না বাড়িতে।
সূত্র : এবিনিউজ
এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!