ভিডিও/ যুুবদলের তোপের মুখে বিএনপির শাহাদাত-বক্কর!

চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর যুবদলের নেতাকর্মীদের তোপের মুুখে পড়েছেন। সম্প্রতি যুবদলের নগর কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি এম শামসুল হক উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড ও পাঁচলাইশ থানা যুবদলের পাল্টা কমিটি ঘোষণা করেন। এতে যুবদলের মূলধারার নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) উত্তর কাট্টলী বিএনপি আয়োজিত দোয়া মাহফিলে অংশ নিতে নগর বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা কাট্টলী যাওয়ার পথে তাদের বহনকারী গাড়ি কাউন্সিলর কার্যালয়ের কাছে কমিউনিটি সেন্টার মোড়ে আটকে বিক্ষোভ করে যুবদল নেতা-কর্মীরা। পরে শামসু ঘোষিত কমিটিকে অবৈধ ঘোষণা করে উত্তেজিত নেতাকর্মীদের শান্ত করেন শাহাদাত-বক্কর।

নগর যুবদলের সহ-সভাপতি শাহেদ আকবর চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘যুবদলের থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করবে নগর যুবদল। অন্য কোন ব্যক্তি কমিটি গঠনের সাংগঠনিক সুযোগ নেই। শামসুল হক যে কমিটি ঘোষণা করেছে তা নগর বিএনপি নেতৃবৃন্দও অবৈধ বলে ঘোষণা করেছেন।’

কাট্টলীর ঘটনা নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা সেলিম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমি ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলাম। আমাকে কোন পদে না রেখেই ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আবার যুবদলের কোন পদে না থেকেও শামসু কাট্টলী ওয়ার্ড যুবদলের পাল্টা কমিটি ঘোষণা করেছে। এ নিয়ে বিএনপি এবং যুবদলে ক্ষোভ বিরাজ করছে। নগর বিএনপির সভাপতি-সেক্রেটারিকে পেয়ে নেতাকর্মীরা বিষয়টির সমাধান চান। তখন উনারা কমিটমেন্ট করেছেন আমাকে পদায়ন করার পাশাপাশি যুবদলের কমিটি নিয়ে কোন হস্তক্ষেপ করবেন না। শামসু ঘোষিত কমিটিকে উনারা অবৈধ ঘোষণার পাশাপাশি দীপ্তি-শাহেদই যুবদলের কমিটি দেওয়ার এখতিয়ার রাখেন বলেও ঘোষণা দেন। তখন নেতাকর্মীরা শান্ত হন।’

ডা. শাহাদাত বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের মিলাদ মাহফিলে অংশগ্রহণের আহবান জানালে তারা এড়িয়ে যান।

পাল্টা কমিটি ঘোষণার ব্যাপারে এম শামসুল হককে প্রশ্ন করলে তিনি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘স্থানীয় বিএনপির নেতাদের সাথে পরামর্শ করে আমি কমিটি গঠন করেছি।’

নগর কিংবা কেন্দ্রীয় কমিটিতে না থেকেও নগরের কোন কমিটি গঠনে তার সাংগঠনিক বৈধতা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সাংগঠনিক বৈধতা আছে কিনা জানি না৤ তবে স্থানীয়ভাবে চাহিদা থাকায় আমি কমিটি গঠন করেছি।’

উল্লেখ্য, শামসুল হক নগর যুবদলের কাজী বেলাল-মোশাররফ হোসেন দীপ্তির কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। এর আগে মির্জা আব্বাস-গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। স্থানীয় রাজনীতিতে তিনি আবুল হাশেম বক্করের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

তবে এই ঘটনায় কোন মন্তব্য করেননি শাহাদাত-বক্কর কেউই। আবুল হাশেম বক্করের ঘনিষ্ঠ নগর বিএনপির এক নেতা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিক্ষোভ বা তোপের মুখে পড়ার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয় বিএনপি নেতা সেলিম ঘোষিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলেন। কমিটি গঠনে তাকে কোন পদে রাখা হয়নি। এটা নিয়ে সমস্যা ছিল। তা সমাধানের আশ্বাস দেন নগর বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা।’

শামসুল হকের পাঁচলাইশ থানা কমিটি ঘোষণার ব্যাপারে দীপ্তি-শাহেদ ঘোষিত কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শেখ রাসেল চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘দলের পদে থাকা নেতৃবৃন্দ স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শ করে যে কমিটি ঘোষণা দিয়েছেন আমি সেই কমিটিতে আছি। যারা দলের কোন পদে নেই তারা কী করলো না করলো তাতে আমাদের কাজে কোন প্রভাব পড়বে না। আমরা পাঁচলাইশ থানাকে যুবদলের দূর্গ হিসেবে গড়ে তুলেতে কাজ করছি।’

এফএম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!