যুবলীগের কমিটি নিয়ে চট্টগ্রামের নেতারা ব্যস্ত শেষ মুহূর্তের তদবিরে, ঘোষণা শিগগিরই

শিগগির নতুন কমিটি পেতে চলেছে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ। সপ্তাহখানেকের মধ্যে এই কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে কেন্দ্রীয় যুবলীগ সূত্রে। কমিটির দৌড়ে এখনও পর্যন্ত চারজন এগিয়ে থাকলেও বিভিন্ন নেতাকর্মীরা নিজের মতো করে ‘লবিং’ চালিয়ে যাচ্ছেন ওপরের মহলে।

চট্টগ্রামে গত ২৮ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত তিন ইউনিটে যুবলীগের সম্মেলন হলেও ১৬ নভেম্বর ঘোষণা করা হয় দক্ষিণ জেলা যুবলীগের কমিটি। এরপর গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করা হয় উত্তর জেলা যুবলীগের কমিটি। দুটি ইউনিটের কমিটি গঠন করা হলেও ঝুলে আছে নগরের ভাগ্য।

তবে কয়েকটি অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, ফেব্রুয়ারির যে কোনো দিন ঘোষণা হতে পারে নগর যুবলীগের কমিটি। আর এমন সংবাদে ইতোমধ্যে কেন্দ্রে শেষ সময়ের লবিং চালাচ্ছেন চট্টগ্রাম নগরের যুবলীগের পদপ্রত্যাশীরা। ইতোমধ্যে একাধিক নেতা ঢাকায় আসা-যাওয়ার মধ্যেই দিন পার করছেন।

কমিটি দিতে কেন এত দেরি—এমন প্রশ্নের উত্তরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় যুবলীগের এক নেতা বলেন, ‘নগরে এত বেশি ‘হাই-প্রোফাইল’ নেতা রয়েছেন যে, কাকে বাদ দিয়ে কাকে পদে আনা হবে; সেই সিদ্ধান্তে ঘুরপাক খাচ্ছে কেন্দ্রীয় কমিটি। বছরজুড়ে তদবীরের পর ইতোমধ্যে একটা শর্টলিস্টও তৈরি করেছে কেন্দ্র। মূলত সেই শর্টলিস্ট থেকেই আসবে নগর যুবলীগের নেতৃত্বে।’

কারা আসতে পারেন নগর যুবলীগের শীর্ষপদে— এমন প্রশ্নের নিখুঁত জবাব পাওয়া না গেলেও কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা দেবাশীষ পাল দেবু, নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক দিদারুল আলম দিদার, স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য দিদারুল আলম দিদার, এমইএস কলেজের ছাত্রসংসদের জিএস আরশাদুল আলম বাচ্চু, মাহবুবুল আলম সুমন, যুবলীগের সদ্য সাবেক সদস্য আসিফ মাহমুদকে ‘হট ফেভারিট’ মনে করছেন অনেকে। তবে তরুণ নেতৃত্বের দিক বিবেচনায় কমিটির ভালো অবস্থানে আসার সম্ভাবনা রয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত। এছাড়াও প্রকৌশলী আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের নামও আলোচনায় রয়েছে।

তবে বিভিন্ন সূত্রের দাবি, চট্টগ্রাম-৯ ও ৮ আসনের সাবেক সাংসদ এবং সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী এমএ মান্নানের ছেলে নগর যুবলীগের সদ্য সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক দিদারুল আলম দিদারকে চাইছেন ওপর মহলের নেতারা। ক্লিন ইমেজ ও পারিবারিক ঐতিহ্যের যোগফলে তিনিই এবারের সেরা একজন পদপ্রত্যাশী। তবে সাম্প্রতিক সময়ে মিডিয়ায় যুবলীগকে নিয়ে বদনামের কারণে কেন্দ্রীয় যুবলীগের একটি অংশ নাখোশ দিদারের ওপর।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে আগের কমিটির সদস্য ও বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘কখন কমিটি হবে, সেটা একমাত্র কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতারাই জানেন। তবে যখনই হোক, যাতে সত্যিকারের ত্যাগীদের হাতেই নগর যুবলীগের নেতৃত্ব আসে। যাদের নেতৃত্বে আগামীর মানবিক যুবলীগ একজোট হয়ে কাজ করতে পারে।’

নগর আওয়ামী লীগের আমৃত্যু সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী মহিউদ্দিন বাচ্চুকে আহ্বায়ক এবং দেলোয়ার হোসেন খোকা, দিদারুল আলম, ফরিদ মাহমুদ ও মাহবুবুল হক সুমনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ২০১৩ সালের ১৩ জুলাই চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের ১০১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় যুবলীগ।

তিন মাসের জন্য গঠিত ওই আহ্বায়ক কমিটি সাত বছর পার করলেও নগর যুবলীগের অন্য কোনো নেতা পাননি পদ-পদবির পরিচয়। নগর যুবলীগের এই পাঁচ শীর্ষ নেতার বিভক্তির প্রভাব আছে থানা এবং ওয়ার্ড পর্যায়েও।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!