যুবলীগের ওয়েবসাইট ও এ্যাপ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়েবসাইট ও মোবাইল এ্যাপ উদ্বোধন করেছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী যুবলীগে তথ্য প্রযুক্তির সংযোজন দেখে প্রশংসা করেন। তিনি পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সকল অঙ্গ সংগঠনের জন্য এ্যাপ তৈরির নির্দেশ দেন।

শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের সমাবেশে ওয়েবসাইট ও মোবাইল এ্যাপ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীকে মঞ্চে ওয়েবসাইট ও মোবাইল এ্যাপ সম্পর্কে অবহিত করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শামসুল আলম খান অনিক, উপ তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঞ্চে বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সময় সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। গ্রাম থেকে বসে পৃথিবীর যে কোনো স্থানে যোগাযোগ করতে পারছে। এটা সম্ভব হয়েছে সজিব ওয়াজেদ জয় এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকার কারনে। আজ যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খানের নেতৃত্বে যুবলীগের অনিক, এলিট এবং সৈকত যুবলীগকে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। আমি এই উদ্যোগের জন্য তাদের ধন্যবাদ দিচ্ছি।’

অ্যাপ ও ওয়েবসাইট প্রসঙ্গে নির্মাণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেন, ‘প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যুবলীগের কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইট এবং মোবাইল এ্যাপ সংগঠনের সারাদেশের কর্মকাণ্ড, সংগঠনের জনশক্তি, তৃনমূলের সঙ্গে কেন্দ্রের যোগাযোগ, কর্মীদের ডাকা সংরক্ষণ করা হবে। এছাড়া কেন্দ্রীয় সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের ভিডিও-অডিও বার্তা, নোটিশ, কেন্দ্রীয় কর্মসূচি এবং সারাদেশের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড আপলোড করতে পারবে। সারাদেশের নিবন্ধিত সদস্যদের ডাটা থাকবে। যে কোনো কর্মী উপজেলা, জেলা শাখার অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা বা গঠনতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কেন্দ্রে অভিযোগ দিতে পারবেন। শুধুমাত্র অভিযোগ বক্স সভাপতি নিজে তদারকি করবেন।’

একই প্রসঙ্গে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ‘বিএনপির সময় বাংলাদেশকে বলা হতো ‘ব্রিডিং গ্রাউন্ড অব টেরোরিজম’। সেখান থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে এখন বলা হচ্ছে ‘নেক্সট এশিয়ান টাইগার’। উন্নয়নের পুরোটাই নেতৃত্বের দূরদর্শিতার ওপর নির্ভর করে। শেখ হাসিনার বাংলাদেশ এখন বিশ্বনেতাদের চোখে উন্নয়নের মডেল।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!