যুবক খুনে ঘাতক কিশোরের স্বীকারোক্তি পটিয়ায়

চট্টগ্রামের পটিয়ায় ছুরিকাঘাতে যুবক হত্যার ঘটনায় ঘাতক কিশোর রানা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

সোমবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বিশ্বেশ্বর সিংহের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন রানা।

রোববার রাতে নিহত যুবক ফাহিমের বাবা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে পটিয়া থানায় রানাকে আসামি করে একটি হত্যামামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় কিশোর রানা আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

রোববার (২ অক্টোবর) সকালে পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের লাখেরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিন বিকেল ৪টার দিকে কর্ণফুলী থানার চরপাথরঘাটা এলাকা থেকে রানাকে আটক করে পুলিশ।

নিহত ফাহিম উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের পিঙ্গলা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। ঘাতক কিশোর রানা (১৭) কোলাগাাঁও ইউনিয়নের লাখেরা গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লাখেরা এলাকার নিহত ফাহিম ভগ্নিপতির রড, সিমেন্ট, বালু ও বাঁশের দোকানে চাকরি করতেন। আর রানা পেশায় একজন মাঝি। শনিবার বিকেলে ফাহিমের ভগ্নিপতির দোকানের পাশে মোহাম্মদী খালে বাঁশের খুঁটিতে নৌকা বাঁধতে যান রানা। এ সময় ফাহিম এসে রানাকে ওই জায়গায় নৌকা বাঁধতে বাধা দিলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রানাকে আঘাত করে বসেন ফাহিম। বিষয়টি ওইদিন সন্ধ্যায়ই স্থানীয় পর্যায়ে মীমাংসা হয়ে যায়। রানার চিকিৎসার জন্য ৫০০ টাকা জরিমানাও করা হয় ফাহিমকে।

কিন্তু সেই ঘটনার জের ধরে রোববার সকালে দোকানে বসে থাকা অবস্থায় রানা এসে ফাহিমের কাছে আগের দিন তাকে কেন মেরেছে জানতে চায়। একপর্যায়ে ফাহিমের বুকে ছুরি মেরে পালিয়ে যায় রানা। এ সময় স্থানীয়রা ফাহিমকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত ফাহিম চার ভাই দুই বোনের মধ্যে পরিবারের তৃতীয় সন্তান।

নিহত ফাহিমের বাবা নজরুল ইসলাম জানান, আমি আমার ছেলে হত্যার দ্রুত বিচার চাই। যাতে আর কারও মা-বাবার বুক খালি না হয়।

পটিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার জানান, সামান্য বিষয় নিয়ে কিশোর রানা ফাহিমকে বুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। এ মামলায় আটক রানা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!