যার খুশি আন্দোলন করুক, আমরা সিআরবিতে হাসপাতালের পক্ষেই—মোছলেম উদ্দিন
সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণ ইস্যুতে কোন ভুল বুঝাবুঝিই হয়নি মন্তব্য করে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের পক্ষেই অটল থাকবেন তিনি। এক্ষেত্রে কারও সাথেই দুরত্ব তৈরি হওয়ার প্রশ্নই উঠেনা দাবি করে একটি আঞ্চলিক পত্রিকায় ‘দূরত্ব ঘোচালেন মাহতাব’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে ‘বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাবেক গণপরিষদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল হারুণের স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘জহুর আহমদ চৌধুরীর পরিবারের রক্তে বেঈমানি নেই। আমি জহুর আহমদ চৌধুরীর ছেলে। আমৃত্যু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে যাব। সিআরবিতে হাসপাতালে নির্মাণ বিষয়ে কোনো কোনো গণমাধ্যম অনুমাননির্ভর খবর প্রচার করছে। বলা হচ্ছে, সিআরবি ইস্যুতে আমি মিলে গেছি। এটা সত্য নয়। আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে আমারও দায়িত্ব রয়েছে। দলের কেউ যদি ভুল পথে যান, তাকে বুঝানোর দায়িত্বও আমার আছে; তাই বলে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না।’
আগেরদিন তার বাসায়তে বৈঠকের প্রসঙ্গেও এসময় কথা বলেন মাহতাবউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘গতকাল আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন আমার বাসায় আসলো। আমার কাছ থেকে মনপ্রাণে দোয়া চাইল। বললো মনে কোন দুঃখ না রাখতে। কিন্তু আজ একটি আঞ্চলিক পত্রিকা “দূরত্ব ঘোচালেন মাহতাব” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করল, এটা বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন। এসব অনুমাননির্ভর লেখা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।’
একই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোছলেম উদ্দিন চৌধুরী এমপিও সিআরবি ইস্যুতে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘সিআরবিতে হাসপাতালের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কনসার্ন আছে। এটা সরকারের প্রকল্প। আমরা এর পক্ষেই থাকবো। এর বিরুদ্ধে যার খুশি আন্দোলন করুক।’
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চসিকের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান আতা।
তবে মাহতাব উদ্দিন ও মোছলেম উদ্দিন ছাড়া বাকিরা সিআরবি ইস্যুতে কোন কথাই বলেননি।
এআরটি/এমএহক