‘যত্রতত্র সামরিক বাহিনী নামানো যাবে না’

suronjit

 

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ কি নির্বাচন পরিচালনার জন্য? সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ উচ্চতর। তারা আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার কাজে নিয়োজিত। এ কাজে তারা সুনাম অর্জন করেছে। তাই যত্রতত্র সামরিক বাহিনী নামানো যাবে না।’

রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে শুক্রবার দুপুরে নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী আয়োজিত চলমান রাজনীতি বিষয়ক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেকটি করপোরেশন নির্বাচনের মতো এই ৩ সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আইনেও কোথাও নেই যে সেনা মোতায়েন করতে হবে। তাহলে আপনারা এই দাবি কোথা থেকে নিয়ে আসলেন?’

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘সামরিক বাহিনী নামানোর বিষয়ে নির্বাচন কমিশন নয়, সরকার ঠিক করে।’

আওয়ামী লীগের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন নয় খালেদা জিয়াই প্রধান বাধা। তার দল এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। আবার একইসঙ্গে তিনি হরতাল-অবরোধ ডেকে রেখেছেন। অবরোধই যদি রাখেন তবে আপনি নির্বাচন করবেন কিভাবে? আর আপনার ভোটাররাই বা কিভাবে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন। তাই জাতীয় স্বার্থে সর্বপ্রথম এই অযোক্তিক হরতাল-অবরোধ বাদ দিয়ে লেভেল প্লেয়িংয়ের ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ খালেদা জিয়াকেই নিতে হবে। এর পর নির্বাচনে আসলে জনগণ আপনাকে গ্রহণ করতেও পারে।’

সুরঞ্জিত বলেন, ‘বিএনপির সুমতি হয়েছে। তারা নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে ফিরে এসেছে। আমাদের জাতীয় জীবনে যে সংকট তৈরি হয়েছিল তা থেকে বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে নির্বাচনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে অপূর্ব সুযোগ করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা।’

সুরঞ্জিত বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সংগঠিত হচ্ছে। নির্বাচনের ইস্যু হবে পেট্রোলবোমা না শান্তি? ককটেল না জনগণের অধিকার। বিএনপিতে এখনো উগ্রবাদীরা রয়েছে। সাময়িকভাবে থেমে গেলেও শেষ হয়ে যায়নি। তাই নির্বাচনে যাওয়ার আগে আদালতের কাছে আত্মসমর্পণ করে আসুন।’

তিনি বলেন, ‘কারগারে যারা আটক আছে তাদের জামিন দেওয়া না দেওয়া আদালতের বিষয়। এখানে সরকারের কিছুই করার নেই। খালেদা জিয়ার আদালতের যাওয়ার বিষয়ে আমার বন্ধু খন্দকার সাহেব বলেন নিরাপত্তা পেলে খালেদা জিয়া আদালতে যাবেন। তিনি কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। তার নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে কে? সে তো নিরাপদেই আছে। তার নিরাপত্তা দিয়ে আদালতে নিতে হবে এমন কোথাও লেখা আছে নাকি?’

সাবেক মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান। তারা অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবে। ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যাবেন। আইনশৃক্সখলা বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’

ডা. খন্দকার মো. এমদাদুল হক সেলিমের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য সতিশ চন্দ্র রায়, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু প্রমুখ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!