চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বিভিন্ন হাট-বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মনিটরিংয়েও মিলছে না সুফল। বাড়তি দামে পণ্য বিক্রির অভিযোগ যেন লেগেই আছে। এরমধ্যে যুক্ত হয়েছে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক। যে কোনো মুহূর্তে লকডাউনের শঙ্কায় অনেকেই চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত করতেও শুরু করে দিয়েছেন। এর প্রভাব পড়েছে উপজেলার চাতরী চৌমুহনী ও বটতলী রুস্তমহাট বাজারসহ বিভিন্ন হাট বাজার ও ওষুধের দোকানে। বাড়তি দামে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চাল ডালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করেছেন অসাধু বিক্রেতারা। খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানে নামেন আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ জোবায়ের আহমেদ।
শুক্রবার (২০ মার্চ) বিকালে উপজেলার চাতরী চৌমুহনী বাজার এলাকায় মূল্য তালিকার চেয়ে বেশি দামে ওষুধসহ বিভিন্ন দ্রব্যপণ্য বৃদ্ধি করায় ৭টি দোকানকে ৬৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়া একইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বটতলী রুস্তমহাট উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. তানভীর হোসেন ৫টি দোকানকে ২১ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
তবে ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেট পর্যবেক্ষণে আসলে তাদের সামনে সব কিছুই ঠিকভাবে বলে। চলে গেলেই ঠিক আগের মতো হয়ে যায় পুরো বাজার।
অন্যদিকে চাতরী চৌমুহনী বাজার এলাকায় ম্যাজিস্টেটের গাড়ি দেখে রাস্তা ফাঁকা করে পালিয়ে যায় গাড়ির চালকরা।
এ বিষয়ে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, ‘করোনাভাইরাসের আতঙ্ক পুঁজি করে কেউ যেন বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি না করতে পারে সে জন্য আমরা অভিযানে নেমেছি। মজুত থাকার পরও নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম যাতে বাড়াতে না পারে সেজন্য উপজেলা প্রশাসন মাঠে রয়েছে। যদি কেউ নিয়ম না মেনে পণ্যের দাম বেশি নেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এএইচ