ম্যাক্স গ্রুপের সেই ক্রেনটি সরানো হচ্ছে, সময় লাগবে ১৫ দিন

অবশেষে বিশালকায় সেই ক্রেনটি সরিয়ে নিতে শুরু করেছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স গ্রুপ। দীর্ঘ দুই বছর ধরে মুরাদপুর বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের নিচে প্রধান সড়কেই পড়েছিল বিশালকায় ক্রেনটি।

এ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি হলে সক্রিয় হয়ে ওঠে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। শেষ পর্যন্ত সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের নির্দেশেই বিশালকায় ক্রেনটি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

ক্রেনটি সরিয়ে নিতে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। প্রতি রাত ১১টা থেকে অপসারণের কাজ চলছে ভোর রাত পর্যন্ত। ধারণা করা হচ্ছে, এ ক্রেনটি সরিয়ে নিতে সময় লাগবে আরও ১৫ দিন।

গত ৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম প্রতিদিনে ‘ব্যস্ত সড়কে ২ বছর ধরে পড়ে আছে ক্রেন, ম্যাক্স কর্পোরেশনের কাণ্ড‘ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

সড়কের মাঝখানে থাকা ক্রেনটি প্রতিনিয়তই জনদুর্ভোগের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এর ফলে যান ও জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছিল।

দুই বছর ধরে মুরাদপুর বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের নিচে প্রধান সড়কেই পড়েছিল বিশালকায় ক্রেনটি।
দুই বছর ধরে মুরাদপুর বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের নিচে প্রধান সড়কেই পড়েছিল বিশালকায় ক্রেনটি।

এছাড়া এরই মধ্যে নগরীর মুরাদপুর বহদ্দারহাট সড়কের মধ্য স্থান এশিয়ান হাউজিং সোসাইটির সামনে প্রধান সড়কে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের মুখে ম্যাক্স গ্রুপের পড়ে থাকা ক্রেনটিও মধ্যরাতে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। তবে এটির তদারকি করছে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। ফ্লাইওভারে গার্ডার ওঠানামার কাজে ব্যবহৃত বিশাল আকৃতির ক্রেনটি দীর্ঘ দুই বছর ধরে সড়কের ওপর পড়ে থাকায় প্রতিনিয়তই ছোটবড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে কোন না কোন যানবাহন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্যরা ক্রেনটি সড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক এসএম মোস্তাক আহমেদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!