চট্টগ্রামের মোড়ে মোড়ে জ্বলে তিন সিগন্যাল বাতি একসঙ্গে!

বিভ্রান্ত চালক ও যাত্রীরা

চট্টগ্রাম নগরীতে মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি থাকলেও তা প্রয়োগ করা হচ্ছে না যথাযথভাবে। তিনটি ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি নিয়মমাফিক আলাদা আলাদা জ্বলার নিয়ম থাকলেও তা জ্বলছে না। কখনও কখনও তিনটি বাতিই একসাথে জ্বলে ওঠে। আবার কখনও কখনও দুটি জ্বলে এক সাথে। ফলে চালকেরা গাড়ি চালনায় বিভ্রান্তিতে পড়ছেন। তাই বিভ্রান্তি এড়াতে যে যার মত গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে।

সোয়াইব মিহির নামের এক যুবক তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘নগরীর ষোলশহর ২ নম্বর গেইট মোড়ে তিনটি সিগন্যাল বাতি একসাথেই কাজ করছে। তার এই পোস্টে বিষয়টি নিয়ে অনেকেই কমেন্ট করেছেন, শুধু ২ নম্বর গেইটে নয়, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ অনেক মোড়ের সিগন্যাল সিস্টেমের বেহাল দশা।’

সিফাত সাঈদ নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এটা পুলিশের বেখেয়ালি। কারণ এই লাইটগুলো হাত সুইচের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ হয়। আমাদের দেশে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল খুব কমই আছে। সত্যি আছে কিনা তাও সন্দেহ। তবে ঢাকায় হয়তো ২/১টা আছে।’

জাকেরিয়া তুহিন নামের অপর একজনের মন্তব্য, ‘কেউ সিগন্যাল না মানার কারণে ট্রাফিক সিগন্যালের ইজ্জত বাঁচাতে এই ব্যবস্থা। আইন অমান্যকারীদের সুবিধার্থে সব বাতি একসাথে জ্বালানো হয়েছে। যাতে কেউ ট্রাফিক ব্যবস্থাকে দোষারোপ করতে না পারে।’

দিদার হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমি নানা কাজে শহরের বিভিন্ন জায়গায় যাই। প্রায় সময় দেখা যায় কখনো ট্রাফিক বাতির লাল সবুজ একসাথে জ্বলতে থাকে। আবার কখনো লাল হলুদ জ্বলে। কখনও কখনও তিনটিই জ্বলতে থাকে। তাছাড়া অনেক চালকেরা তো নিয়ম ভঙ্গ করে গাড়ি চালায়। যে কয়েকজন নিয়ম মানে তারাও সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন কী করবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ট্রাফিক সিগন্যাল তো নামমাত্র আছে। ট্রাফিক পুলিশ থাকে বড় বড় গাড়ি থামিয়ে চাঁদা নিতে আর সার্জেন্ট থাকে মোটরবাইকের জরিমানা নিয়ে ব্যস্ত। ডিজিটাল যুগে সিগন্যাল বাতির নিয়ন্ত্রণ কিভাবে হয় আল্লাহ জানে। কে মানে কার আইন?’

সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) এসএম মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘এই বাতিগুলো হাতে নিয়ন্ত্রণ হয়। তাছাড়া মাঝে মাঝে শর্টসার্কিটও হয়। এগুলো আসলে পুরনো লাইন তো তাই। আইপিএসেরও ব্যবস্থা নেই, বিদ্যুৎ চলে যায়। তাই এমন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাছাড়া এই সিগন্যাল বাতিগুলো নিয়ে সোমবার থেকে কাজ করা শুরু করেছি। এ কাজ সিটি কর্পোরেশনকে দিয়েছি। তারা এই সমস্যার সমাধান করে দেবেন এই মাসের মধ্যেই। মার্চের ১ তারিখ থেকে আইপিএসেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!