মোস্তফা পেপার কমপ্লেক্সে আবারও গ্যাস সংযোগ, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের কারসাজি

বকেয়া বিলের তথ্য পুরোই গোপন

মেসার্স মোস্তফা পেপার কমপ্লেক্স লিমিটেডের বকেয়া গ্যাস বিল ও মিটারের বিলের পরিমাণ গোপনের মাধ্যমে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ১ বছর আগে পুনঃসংযোগ দেয় কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)।

অভিযোগ রয়েছে, পরস্পর যোগসাজশ ও অনৈতিক সুবিধার আশায় বিধিবর্হিভূতভাবে দেওয়া এই পুন:সংযোগ স্থাপন করার কাজে জড়িত ছিলেন কেজিডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ মাজেদ, মহাব্যবস্থাপনা পরিচালক (বিতরণ- উত্তর) প্রকৌশলী শফিউল আজম খান।

সম্প্রতি পেট্রোবাংলা এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য মেলেছে।

২০২২ সালের ১৭ মে কেজিডিসিএলের শীর্ষ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের এ প্রতিবেদন দাখিল করেন পেট্রোবাংলার পরিচালক (পরিকল্পনা ও তদন্ত কমিটির আহবায়ক) আলী ইকবাল মো. নুরুল্লাহ।

জানা যায়, দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান মোস্তফা গ্রুপের আরেকটি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোস্তফা পেপার কমপ্লেক্স লিমিটেডের গ্যাস বিলের অর্থ বকেয়া থাকার অভিযোগে ২০২১ সালের ৭ জুন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কেজিডিসিএল। শিল্প খাতে ব্যবহার হওয়া এই মিটারের নম্বর ছিল ১৫৩৮৬২।

২০২১ সালের ২৩ জুন মেসার্স মোস্তফা পেপার কমপ্লেক্স লিমিটেডের মিটারটিতে ত্রুটি না থাকলেও মিটারটির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেয় কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ। ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর ওই মিটারটি নেগেটিভের পরিমাণ বেশি হওয়ায় মেরামত করে ব্যবহার করা যেতে পারে বলে কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদনের বলা হয়।

সমস্যা থাকার পরও ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ওই প্রতিষ্ঠানের মিটারের নথি উপস্থাপনের মাধ্যমে ওই মিটারে পুনঃসংযোগ দিতে অনুমোদন দেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক। অনুমোদন দেওয়ার দিনই গ্যাসের পুনঃসংযোগ দেওয়া হয়।

দেখা যায়, গ্যাস মিটারের অনুমোদনের নথিতে গ্রাহকের বকেয়া টাকা উল্লেখ থাকলেও সেখানে বকেয়া মোট গ্যাসের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি। কেজিডিসিএলের শুধু মাত্র ৪০ হাজার আদায় ও ৬ মাসের কিস্তিতে টাকা আদায়ের জন্য গ্রাহক থেকে একটি অঙ্গিকারনামা নিয়ে পুনঃসংযোগের সুপারিশ করেন মহাব্যবস্থাপক (মার্কেটিং-উত্তর) প্রকৌশলী শফিউল আজম খান।

কেজিডিসিএল্প’র বিপণন নীতিমাল ৮.৫.২ (খ) ধারা অনুযায়ী বকেয়া ও পাওনা অনাদায়ে অস্থায়ীভাবে বিচ্ছিন্নকৃত গ্রাহককে গ্যাস সংযোগের বিপরীতে সকল দেনা অর্থ এককালীন পরিশোধ সাপেক্ষ কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) পুনঃসংযোগের অনুমোদন দিতে পারে।

বকেয়া পাওনা ৫০% এককালীন ও অবশিষ্ট অর্থ ছয় মাসের কিস্তিতে পরিশোধের ভিত্তিতে এই পুনঃসংযোগের অনুমোদন দেওয়ার কথা ছিল ব্যবস্থাপনা পরিচালকের।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপব (বিপণন-উত্তর) প্রকৌশলী মো. শফিউল আজম খানের মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে এমডি এম এ মাজেদকে একাধিকবার মুঠোফোন চেস্টা করেও সাড়া মেলেনি।

এমএফও/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!